মানি চেঞ্জারগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংগ্রহ করতে হবে ডলার
নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে কার্যরত মানি চেঞ্জারগুলোকে রিজার্ভ থেকে সরাসরি সহায়তা করবে না বাংলাদেশ ব্যাংক। যেহেতু তারা বেশিরভাগ সময় খোলা বাজারে ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি করে থাকে। তাই তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডলার সংগ্রহ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম।
সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা ডলার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি, ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সরকারি পেমেন্ট বা বিভিন্ন প্রকল্পের আমদানি দায় মেটানোর জন্যই এই সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ডলার সংকট মোকাবেলায় এই মুহূর্তে মানিচেঞ্জারগুলোকে ডলার সহায়তার কথা ভাবছে না বাংলাদেশ ব্যাংক।
মুখপাত্র আরও বলেন, মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭৬২ কোটি (৭.৬২ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবারও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দুই মাস ১ দিনে রিজার্ভ থেকে ২৫৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে, ডলার বিক্রির চাপে গত রোববার দিন শেষে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৩৮ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। গত ১২ জুলাই আকুর প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। এরপর ২০ জুলাই পর্যন্ত রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৮০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে। জুলাইয়ের শেষে তা কমে ৩৯ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।
অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের যে মাইলফলক অতিক্রম করেছিল, তাতে বাজার থেকে ডলার কেনার অবদান ছিল বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কমায় গত অর্থবছরের আগস্টের পর থেকে দেশে ডলারের সংকট দেখা দেয়। রপ্তানি আয় বাড়লেও ডলারের সংকট কাটছিল না। ফলে প্রতিনিয়ত বেড়েছে ডলারের দাম। এজন্য রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিনিয়ত দামও বাড়িয়েছে। এর পরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডলারের দাম।