বাংলাদেশ-ভারত ৭ সমঝোতা স্মারক সই
নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উভয় নেতার এই বৈঠক শেষ হয়। পরে তাদের উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মাঝে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই বলেছে, হায়দ্রাবাদ হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দেশের সম্পর্ক পর্যালোচনা এবং আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
বৈঠক শেষে উভয় দেশের নেতাদের উপস্থিতিতে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত কুশিয়ারা নদী থেকে পানি প্রত্যাহার নিয়ে সমঝোতা। এছাড়া দুই দেশের বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা, উভয় দেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের মধ্যে সমঝোতা, রেলের আধুনিকায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকের সইয়ের পর উভয় দেশের নেতা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। প্রথমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, গত বছর আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করেছি। আমরা প্রথম মৈত্রী দিবসও উদযাপন করেছি। আগামী দিনে ভারত- বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এক টুইটে বলেছেন, ২০১৫ সালের পর দুই নেতা মোট ১২ বার সাক্ষাৎ করেছেন।
টুইটে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বব্যাপী ভারত-বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব পর্যালোচনা এবং আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে তারা ১২ বার সাক্ষাৎ করেছেন। আমাদের নেতৃবৃন্দের নিয়মিত আলোচনা সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য গতি যোগ করছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের আলোচ্যসূচিতে আঞ্চলিক সংযোগ, জ্বালানি, পানিসম্পদ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে টুইটে জানিয়েছেন অরিন্দম।