আজ: শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ইং, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

ইআরএফ'র কর্মশালায় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা

সচেতনতার মাধ্যমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেছেন, কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশনের (সিপিআর) সচেতনতার মাধ্যমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হার অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ডিএমসি) হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ও আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. ওয়াদুদ চৌধুরী মঙ্গলবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সদস্যদের জন্য সিপিআর প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ কথা বলেন।

ইআরএফ সভপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা.মহসীন আহমদ, এভারকেয়ার হাপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী কনসালটেন্ট ডা. আসিফ জামান তুষার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম ।

ডা. ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, উন্নত বিশ্বে জনসাধারণের মধ্যে সিপিআর ট্রেনিংয়ের উপর অনেক জোর দেয়া হয়। সে তুলনায় আমাদের দেশে এ ব্যাপারে সচেতনতার হার অনেক কম। এই বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশন” সিপিআর নিয়ে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে আসছে।

তিনি জনসাধারণের মধ্যে সিপিআর ট্রেনিংয়র মাধ্যমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সাংবাদিক, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈশ্বিক পরিসংখ্যান মতে, প্রতি বছর প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে। তার মধ্যে একটি বড় অংশ হলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। দেখা গেছে, কোনো ব্যক্তি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হলে তার মৃত্যু হার প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিক সিপিআর বা কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশনের মাধ্যমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হার অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব বলে কর্মশালায় বিশেজ্ঞরা মত দেন।

রাজধানীর হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতাল ছাড়া সারা দেশে সিপিআর দেয়া হয় না বলে উল্লেখ বিশেষজ্ঞরা বলেন, সিপিআর সংস্কৃতি এখনো গড়ে উঠেনি এর অন্যতম কারণ হলো প্রশিক্ষিত জনবল ও জনসচেনতার অভাব। একই সাথে সিপিআর দেয়া রোগী মারা গেলে আইনি জঠিলতায় পড়ার শঙ্কা থেকে অনেক সেবাদাতাই আগ্রহী হন না।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.