পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ারের দাম বাড়ার কারণ তদন্তের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফেরত আসার পর কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন অস্বভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেনে অস্বাভাবিক গতিবিধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের শেয়ারের দাম ও লেনদেনে অস্বাভাবিক গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোম্পানির শেয়ারের দাম গত ১০ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ কার্যদিবসে ১৭৫.৫০ টাকা থেকে ২৭২ টাকা বা ৫৪.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে আলোচ্য সময়ে মধ্যে শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য এবং লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেনি পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। এরই ধরাবাহিকতায় ডিএসইকে কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন বৃদ্ধির কারণ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৯০ সালে। পরবর্তীতে ব্যবসায়িক পরিস্থিতি অবনতির কারণে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে কোম্পানির মূল মার্কেট থেকে ওটিসি মার্কেটে স্থানান্তর করা হয়। তবে প্রায় এক যুগ পর কোম্পানিটি মূল মার্কেটে ফেরানোর উদ্যোগ নেয় কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ২০২১ সালের ১৩ জুন কোম্পানিটি মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু করে।
বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে ৩৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.৫৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৬৪.৪৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।