পাকিস্তানের বন্যার মতো জলবায়ু হত্যাকাণ্ড কখনও দেখিনি: গুতেরেস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলা করছে পাকিস্তান। বন্যায় বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এবং অবকাঠামো ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাস্তব অবস্থা সচক্ষে দেখতে বন্যা-বিধ্বস্ত পাকিস্তান সফর করছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
পাকিস্তানের চলমান বন্যাকে ভয়াবহ আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, তিনি ব্যাপক মাত্রার এই ‘জলবায়ু হত্যাকাণ্ড কখনও দেখেননি’। একইসঙ্গে এই ধরনের ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির জন্য ধনী দেশগুলোকেও দায়ী করেছেন তিনি। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে চলমান এই বন্যায় প্রায় ১৪০০ জন মারা গেছেন এবং ১০ লাখেরও বেশি লোক বন্যায় গৃহহীন হয়েছেন। এছাড়া ভয়াবহ এই বন্যায় পাকিস্তানের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। একইসঙ্গে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন এই দেশটিতে বন্যায় ব্যাপক ফসলহানিও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজ যা দেখেছি তা বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ আমার কাছে নেই।’
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল আগে থেকেই চলে আসা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বন্যায় মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০০ কোটি মার্কিন ডলার বলে অনুমান করেছেন। তবে স্বাধীন বিশ্লেষকরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণকে ১৫০০ কোটি থেকে ২০০০ কোটি মার্কিন ডলারের মধ্যে রেখেছেন এবং তাদের আশঙ্কা, এটি আরও বাড়তে পারে।
গুতেরেস বলেছেন, তার সফর পাকিস্তানের জন্য সহায়তা জোগাবে বলে তিনি আশা করছেন। গত শুক্রবার দেশটিতে পৌঁছানোর পরপরই জাতিসংঘের প্রধান পাকিস্তানের জন্য ব্যাপক বৈশ্বিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পাকিস্তান সরকারের বন্যা ত্রাণ কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিপর্যয় মোকাবিলায় ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয় করেছে দেশটি। এছাড়া বিধ্বংসী এই বন্যায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিন্ধ প্রদেশের মহেঞ্জো দারোরও উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।
সাড়ে চার হাজার বছরের পুরোনো বিখ্যাত এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটি ইউনেস্কো স্বীকৃত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য।