রোহিঙ্গা শরণার্থী এলাকায় স্বাস্থ্য সেবায় ফ্রেন্ডশিপকে ৩টি অ্যাম্বুলেন্স দিল জাপান
নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারে শরণা্র্থী এলাকায় রোগি আনা নেয়া এবং সময় মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ফ্রেন্ডশিপকে ৩টি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছে জাপান। দেশের অন্যতম সামাজিক সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাম্বুলেন্সগুলোর চাবি তুলে দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। অ্যাম্বুলেন্সগুলোর চাবি গ্রহন করেন ফ্রেন্ডশিপের আইন ও অর্থ বিভাগ প্রধান মুহাম্মদ শামীম রেজা।
সেমবার (১২ সেপ্টেম্বর) অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর উপলক্ষে কক্সবাজার উখিয়া’র ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, মানবিক সহায়তায় সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে জাপান। রোহিঙ্গা শরণার্থী এলাকায় রোগি পরিবহন এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে অ্যাম্বুলেন্সগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন তিনি। এ সময় কক্সবাজার শরণার্থী এলাকায় ফ্রেন্ডশিপের স্বাস্থ্যসেবার প্রশংসা করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
ফ্রেন্ডশিপের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রধান ডাঃ গোলাম রসুল জানান, রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি কক্সবাজার শরণার্থী এলাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন বিবেচনায় শরণার্থী এবং স্থানীয়দের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ। অ্যাম্বুলেন্স আসার ফলে, কক্সবাজার উখিয়ায় বসবাসকারী শরাণার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দা মিলে প্রায় ৩ লাখ মানুষ পাবেন রোগি বহন সুবিধা। বিশেষ করে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উখিয়া উপজেলা সদর বা কক্সবাজার জেলা সদরে চিকিৎসা সেবা আগের তুলনায় অনেক সহজ হবে।
অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মিজানুর রহমান, কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মাহবুবুর রহমান, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসেন সজিব, উখিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রনজন বড়ুয়া রাজন, জাতিসংঘ শরণার্থী হাইকমিশন- ইউএনএইচসিআর অফিস প্রধান ইতা স্কুয়েতি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার উপ-প্রধান নিহান এদরোগান, ফ্রেন্ডশিপের উপ-পরিচালক ডাঃ রাফি আবুল হাসনাত সিদ্দিকীসহ বাংলাদেশ সরকার, জাপান দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের উখিয়া শারণার্থী এলাকায় স্থানীয় স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় ৪ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ। রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবায় ৫টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, একটি হেলথ পোস্ট এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় একটি মেটারনিটি সেন্টারসহ উখিয়ায় হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছে ফ্রেন্ডশিপ।