নাভানা ফার্মার আইপিওতে আবেদন শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক : কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হওয়ার পর এবার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ব্রোকার হাউজগুলোতে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর আগে আইপিওর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসার জন্য বিডিং অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৪ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সময়ে আইপিওর বিডিংয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করে। তারা কোম্পানির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস ৩৩ টাকা ৯৭ পয়সা নির্ধারণ করে।
নিয়ম অনূসারে, সেই কাট-অফ প্রাইসের ওপর ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি জন্য দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ টাকা। সাধারণ বিনিয়োগকারী অর্থাৎ দেশি বিনিয়োগকারী ও অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে মোট ১ কোটি ৭৩ লাখ ৭ হাজার ৭০০টি শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আইপিওতে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে।
চলতি বছর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসকে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৭৫ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেয়। এই টাকা কোম্পানিটি নতুন ভবন নির্মাণ, ইউটিলিটি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, সেফালোস্ফোরিন ইউনিটের সংস্কার, ঋণ পরিশোধ এবং আইপিওর ব্যয় বাবদ খরচ করবে।
এক্ষেত্রে কোম্পানিকে শর্ত দেওয়া হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না। কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে আনতে কাজ করছে ইস্যু ম্যানেজারের কাজ করছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
কোম্পানির তথ্য মতে, গত ১ জুলাই ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২ টাকা ৩৯ পয়সা। গত ৫ বছরে কর-পরবর্তী মুনাফার ভারিত গড় হারে ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫১ পয়সা।
একই সময়ে পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৯ টাকা ০২ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন পরবর্তী মূল্য ছিল ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সা।