আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার |

kidarkar

‘সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্য তালিকা ঝোলানো বাধ্যতামূলক’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিশ্ব বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ৯টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঠিক করে দেওয়া হবে। বাজার অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণে সকল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে পণ্যের মূল্য তালিকা ঝোলানো বাধ্যতামূলক করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা ট্যারিফ কমিশনকে ১৫ দিন সময় দিয়েছি। আরও হয়তো ৭ দিন সময় লাগবে এ কাজে। আমরা ইতোমধ্যে খাবার, স্টিলসহ ৯টি পণ্যের দাম ঠিক করে দিয়েছি। যাতে ব্যবসায়ীদের অনৈতিক সুযোগ নেওয়া কমে যায়।

গতকাল শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ১৬তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভোক্তা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংগঠনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং ট্যারিফ কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পণ্যের যৌক্তিক দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্য।

ডিমের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই বাড়তিটা কতটা হওয়া উচিত…মুরগির খাবারের মূল্য, পরিবহন, সব মিলিয়ে কত হবে সেটা ট্যারিফ কমিশন নির্ধারণ করে দেবে, যেটা সবার জন্য যৌক্তিক হবে।

টিপু মুনশি বলেন, বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে একটি যৌক্তিক মজুরি বোর্ড গঠন করা দরকার। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।

পোশাক শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, আপনাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। তবে এর কিছু শ্রম মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্ত। আমি বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে শ্রম মন্ত্রণালয়কে বলতে পারব এবং মালিকপক্ষকেও বলতে পারব খুব শিগিগরই মজুরি বোর্ড গঠন করে এখনকার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একটা যৌক্তিক বেতন ঠিক করা দরকার।

ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের সাথে আমি একমত, ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে হবে। কিন্তু সেটা যৌক্তিক হতে হবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে, যে ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন সেই ফ্যাক্টরি আপনাদের অন্ন দেয়। আবার ফ্যাক্টরির মালিকদেরও আপনাদের প্রয়োজন। তাই দুজনকেই যৌক্তিকভাবে পাশাপাশি থেকে নিজ দরকারে কাজ করে যেতে হবে।

শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক শ্রমিক নেতা আছেন সভাপতি হওয়ার পর কাজ করতে চান না। এটা ঠিক না। তাদের শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে আরও আন্তরিক হতে হবে। শ্রমিকদের জন্য কাজ করতে হবে। নেতা হওয়া মানে ঘুরে বেড়ানো না।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.