দেশের নদীগুলো নিয়মিত খনন করার আহ্বান
নিজস্ব প্রতিবেদক : নদীর নব্যতা বাড়িয়ে শুষ্ক মৌসুমে পানির সহজলোভ্যতা বাড়াতে, নদীর ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং বন্যা, খড়ার মতো দুর্যোগগুলো থেকে বাঁচতে দেশের নদীগুলোর নিয়মিত খনন প্রয়োজন। একইসঙ্গে প্রয়োজন নদীকে পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত রাখা।
সম্প্রতি (২৬ সেপ্টেম্বর) “বাংলাদেশে নদী খননের প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ” বিষয়ক এক ওয়েবিনার এর আয়োজন করে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড। উক্ত অনুষ্ঠানে নদী খননের প্রয়োজনীয়তা, চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরনের উপায় নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। এই দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে নদী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। নদী বাংলাদেশের পরিবহন ও যোগাযোগের সবচেয়ে সহজলভ্য মাধ্যম। যদিও দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর নাব্যতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবার কারণে বর্তমানে সাড়ে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতেই তলিয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ অঞ্চল। তাই নদী খননের মাধ্যমে নদী খালের নাব্যতা পুনরূদ্ধারসহ নদীতে অব্যাহত ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর মাধ্যমে নৌপথ সচল করার উপর তাগিদ দেন অংশগ্রহণকারী বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের চীফ ইঞ্জিনিয়ার (ড্রেজিং) রকিবুল ইসলাম তালুকদার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক ১০,০০০ কিলোমিটার নৌ-পথ উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে যার মাধ্যমে নৌ পরিবহন সেক্টরের উন্নয়ন, এই সেক্টরে কর্মসংস্থান সুযোগ বৃদ্ধি এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদি।
বক্তারা নদী খনন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অটোমেশন এবং ডিজিটালাইজেশন এর উপর জোর আরোপ করেন। এছাড়া, নদী খনন প্রক্রিয়ার সাথে যারা জড়িত তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন এবং নদী খননের সমস্ত প্রক্রিয়াটি যেন সময়মত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় সেই বিষয়ে গুরূত্ব আরোপ করেন।
জনাব হুমায়ুন রশিদ বলেন, ‘নদী আমাদের মা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা ময়লা, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন আবর্জনা নদীতে ফেলে প্রতিনিয়ত দূষণ করে চলেছি। তাই এই বিষয়ে, জনসচেতনতা প্রয়োজন। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড প্রতি মাসেই নদী পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং আমরা আশাবাদী আমাদের এই উদ্যোগ অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইঞ্জি. মোঃ রুহুল কুদ্দুস, নির্বাহী পরিচালক ড্রেজিং ই- ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, মোঃ সিরাজুল ইসলাম প্রকৌশল ও জাহাজ জরীপ কারক এবং অভ্যন্তরীণ নৌযান রেজিস্টার, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, এবং মোঃ মাসুম পারভেজ চীফ বিজনেস অফিসার পাওয়ার এন্ড এনার্জি ডিভিশন এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড।