আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, বুধবার |

kidarkar

মাইডাস ফাইন্যান্সের খেলাপি ৫০ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাইডাস ফাইন্যান্সের খেলাপি ঋণ প্রায় ৫০ শতাংশ দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রসাশন ও মানবসম্পদ বিভাগের সবেক প্রধান কর্মকর্তা শামীম আহমেদ।

তিনি বলেন, সাতটি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি পরিমাণ ৪২ থেকে ৯৬ শতাংশ। এর মধ্যে মাইডাস ফাইন্সের খেলাপি প্রায় ৫০ শতাংশ।

যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায় জুন শেষে প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ প্রায় ১৯ শতাংশ। কিন্তু এ তথ্য তিনি অসচ্ছ বলে দাবি করেন।

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন তিনি।

দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তাঁর মধ্যে অন্যতম অন্যতম মাইডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেড। নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে এ প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রক্রিয়ায় হাজার হাজার আমানতকারী ও বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন।

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘ ১৫ বছর চাকরিকালে এসব অনিয়মের সাক্ষী ছিলাম। এ বিষয়ে দুদকে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বারবার নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন সত্ত্বেও ফেরত না পাওয়ার আক্ষেপর কথা সাংবাদিকদের জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এসব অনিয়ম দুনীর্তির তথ্য প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার হোল্ডার, বিনিয়োগকারী ও আমানতকারীদের জানানো নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে হয়েছে। এসব অপকর্মে জড়িতদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। তাই বিষয়টি জনসম্মুখে আনতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল আযম ও পর্ষদ সদস্য সামছুল আলমের বিরুদ্ধে নিজ নামে ঋণ অনুমোদন, জাল-জালিয়াতি, দুর্নীতির প্রমাণ নষ্ট করতে ঘুষ প্রদান, নারী কেলেঙ্কারি, বেতন-ভাতা ম্যানিপুলেশন, মাদক কারবার ও কোম্পানির গাড়ি-বাড়ি দখলসহ বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন। এছাড়া বর্তমান কোম্পানির সচিব তানভীর হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা কূটকৌশলের অভিযোগ আনেন শামীম আহমেদ।

আশির দশকে এনজিও হিসেবে কাজ শুরু করে মাইডাস। এরপর ১৯৯৫ সালে মাইডাস ফাইন্সসিং লিমিটেড নামে যাত্রা শুরু করে। ২০০০ সাল থেকে বাণিজ্যিক কাজ কার্যক্রম পরিচলনা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.