আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার |

kidarkar

হজে বেঁচে যাওয়া অর্থ ফেরত পাবেন সরকারি হাজিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছর হজে বেঁচে যাওয়া অর্থ ফেরত পাবেন সরকারি হাজিরা। সৌদি আরবে বাড়ি ও হোটেল ভাড়ার অব্যয়িত অর্থ সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীরা ফেরত পাবেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনার ৩ হাজার ৭০০ এর বেশি হাজিকে এ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। প্যাকেজ-১ এর হাজিরা প্রত্যেকে ৪৭ হাজার ৭২৬ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর হাজিরা ১০ হাজার ২৯৩ টাকা করে ফেরত পাবেন। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হাজিদের টাকা দেওয়া শুরু হবে বলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হজের ব্যয় না হওয়া ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজ অফিসের পরিচালকের অনুকূলে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ পরিচালকের কাছে লেখা আরেক চিঠিতে ২০২২ সালের হজে সৌদি আরবে বাড়ি/হোটেল ভাড়ার অব্যয়িত অর্থ সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া প্যাকেজ-১ এর হাজিদের ৪৭ হাজার ৭২৬ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর হাজিদের ১০ হাজার ২৯৩ টাকা হারে ফেরত দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।
২০২২ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া প্যাকেজভিত্তিক নিবন্ধিত হাজিদের মধ্যে এ অর্থ আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ করে চেকের মাধ্যমে বিতরণ শেষে সমন্বয় প্রতিবেদন ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য হজ পরিচালককে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সময় কম থাকায় সৌদি আরবে বিভিন্ন খরচ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই সেগুলোর আনুমানিক খরচ ধরে হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত হয়েছিল। এর মধ্যে বাড়ি ও হোটেল ভাড়ার খরচ বেঁচে গেছে। এবার হজে সৌদি সরকার সব দেশের কোটা কমিয়ে দেওয়ায় হোটেল ও বাড়ি সহজলভ্য ছিল, ভাড়াও ছিল কম।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক হজযাত্রীকে চেকের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যে মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করা হয়েছিল, ওই নম্বর যাচাই করে চেক দেওয়া হবে।
বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হজে যাওয়া ব্যক্তিদের খরচ ফেরতের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) নেতাদের ডাকা হয়েছিল। তারা বলেছেন, সরকার লাভ করে না, তাই তারা টাকা ফেরত দিতে পারে, এজেন্সিগুলো তো মুনাফা করে। এছাড়া হিসাব-নিকাশের কাজও শেষ, তাই হাজিদের অর্থ ফেরত দেওয়ার কোনো সুযোগ তাদের নেই।
গত ৮ জুলাই সৌদি আরবে হজ অনুষ্ঠিত হয়। ৫ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত ১৬৫টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রী (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ)। হজ শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হয় গত ৮ আগস্ট।
এবার সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর ‘সাধারণ প্যাকেজ’র মাধ্যমে হজ পালনে খরচ ধরা হয়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.