কক্সবাজারে ওয়ালটনের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র আয়োজনে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহৎ সম্মেলন ‘মিট দ্য পার্টনারস’। পাঁচ তারকা ‘হোটেল রয়েল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’ তে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে ওয়ালটনের দেড় সহ¯্রাধিক ডিস্ট্রিবিউটর অংশ নেন। সে সময় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসায়ীরা ২০৩০ সালের মধ্যে ওয়ালটনকে শীর্ষ গ্লোবাল ব্র্যান্ডে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনে কোভিড পরবর্তী চলমান বৈশি^ক অর্থনৈতিক মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসার কৌশল সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। ওয়ালটনের পরিচালনা পর্ষদ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবসা সম্পর্কে ডিস্ট্রিবিউটদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ফিতা কেটে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি. এর ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে এস এম শামছুল আলম বলেন, ডিস্ট্রিবিউটরগণের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক বিদ্যমান। তারা ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকি। ডিস্ট্রিবিউটরগণ যাতে তাদের ব্যবসা উত্তোরোত্তর বাড়াতে পারেন, সেজন্য আমাদের সর্ব্বোচ প্রচেষ্টা ছিলো। ভবিষ্যতেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
এস এম আশরাফুল আলম বলেন, ওয়ালটনের সেলস নেটওয়ার্ক দেশসেরা। অচিরেই এ নেটওয়ার্ক বিশ^সেরা হবে। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স মার্কেট দিন দিন বড় হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটন ব্যাপকভাবে গ্লোবাল মার্কেটে যাচ্ছে। শুধু বাংলাদেশই নয় বরং সারা পৃথিবীতে গর্বিত হওয়ার মতো প্রোডাকশন প্ল্যান্ট আমাদের আছে। সুতরাং আমাদের যৌথভাবে এগিয়ে যাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে।
গোলাম মুর্শেদ বলেন, আমরা সব শ্রেণীর ক্রেতাদের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ডেভেলপ ও উৎপাদন করি। এ সপ্তাহে প্রিমিয়াম সিরিজের ৪ মডেলের নতুন ফ্রিজ উদ্বোধন করলাম। আগামি নভেম্বরের শেষ নাগাদ ইকোনমি মডেলের নতুন কিছু পণ্য বাজারে আসবে। আমাদের চৌকস সেলস নেটওয়ার্ক রয়েছে। মার্কেট শেয়ারে ওয়ালটন শীর্ষে আছে। আমার বিশ^াস এ বছর তা সর্বোচ্চ হবে। ওয়ালটন ব্র্যান্ড নিয়ে, লাল সবুজের পতাকা নিয়ে আমরা বিশ^জয় করবোই।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার ও ইভা রিজওয়ানা, ওয়ালটন প্লাজা টেড্রের সিইও মোহাম্মাদ রায়হান, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিএমডি লিয়াকত আলী, ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, মোহাম্মদ ফিরোজ আলম, আনিসুর রহমান মল্লিক, মোস্তফা নাহিদ হোসেন, সোহেল রানা, ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন, মাহফুজুর রহমান ও আল ইমরান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহজাদা সেলিম, শাহজালাল হোসেন লিমন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মনিরুল হক, শহীদুজ্জামান রানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিত্রনায়ক আমিন খান। সম্মেলনে বিভিন্ন অঞ্চলের সেরা ডিস্ট্রিবিউটরদের পুরস্কৃত করা হয়। ছিলো সি-বিচ পার্টি, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আনন্দমুখর আয়োজন।