আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৫ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

ইউনিসেফের আন্তর্জাতিক কাউন্সিলে যুক্ত হলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের (AACT) ট্রাস্টিগণ, মুহাম্মদ আজিজ খান, আঞ্জুমান আজিজ খান, ডঃ হ্যান্স কেন্ডেল এবং ডঃ ক্রিশ্চিয়ান প্রোকপ, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল, ইউনিসেফ ডিরেক্টর অফ প্রাইভেট ফান্ডরেইসিং এন্ড পার্টনারশীপ কার্লা হাড্ডাদ মার্দিনী, বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট এবং ইউনিসেফের ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলর চেয়ার মারিয়া আল্স্ট্রম-বন্ডেস্টাম কোপেনহেগেনে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে – তাঁরাই ইউনিসেফের আন্তর্জাতিক কাউন্সিলে প্রথম কাউন্সিল সদস্য যারা বাংলাদেশ থেকে যোগদান করলেন।

আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট (AACT) এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের মধ্যে এই চার বছরের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কোভিড মহামারীতে সৃষ্ট  শিক্ষার সংকট মোকাবেলায় ৩,০০০ স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া এবং পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদেরকে পুনরায় স্কুলে ফিরিয়ে আনতে এবং পড়াশুনায় এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশে শিশুদের জন্য তাদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ, আঞ্জুমান আজিজ খান এবং মুহাম্মদ আজিজ খানকে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত ইউনিসেফের আন্তর্জাতিক কাউন্সিলে যুক্ত হতে নিমন্ত্রণ জানানো হয় এবং তারাই বাংলাদেশ থেকে প্রথম কাউন্সিল সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।

আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট (AACT) বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া  শিশু যাদের মধ্যে অনেকেই করোনাকালীন সময়ে স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল, তাদের শিক্ষায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

“প্রত্যেকটি শিশু হলো ভবিষ্যৎ, যদি আমরা ভবিষ্যৎ চাই তাহলে আমাদের শিশুদের সক্ষম করতে হবে শিক্ষার মাধ্যমে। শিক্ষা – শুধু শিশু অধিকার নয়, এটা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য আবশ্যক।” বলেন সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট (AACT)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার মুহাম্মদ আজিজ খান। আমাদের ঢাকা দক্ষিণে এই সহায়তার অনুপ্রেরণা ছিল মুহাম্মদ আজিজ খানের ব্যবসা শুরুর দিনগুলো থেকে, যখন তিনি ঢাকার চকবাজার এবং উর্দু রোডে কাজ করেছেন।

“খান (পরিবারের) এই উদার এবং অসাধারণ অবদান শিশু অধিকার ও প্রয়োজনের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের সাক্ষ্য। ইউনিসেফ আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের এই অনুদানের জন্য কৃতজ্ঞ, যা দেশের বহু সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে।“ বলেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

ইউনিসেফের ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলে আছেন বিশ্বের অনন্য প্রভাবশালী এবং নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়িক পরিবার যারা তাদের নিজস্ব তহবিল, প্রভাব এবং দক্ষতা দিয়ে বিশ্বের শিশুদের সাহায্য করেন। খান পরিবারকে ইউনিসেফ ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিলের ২০২২ সালের অক্টোবরে ডেনমার্কে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সম্মেলনে স্বাগত জানানো হয়। কোপেনহেগেনে খান পরিবারকে সরাসরি দেখানো হয় ইউনিসেফের গুদামের বিশাল কর্মযজ্ঞ এবং কীভাবে জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা ও কিশোর-কিশোরীদের কিট সহ বিভিন্ন সাহায্য বিশ্বজুড়ে সরবরাহ করা হয়।

আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সহায়তায় ইউনিসেফ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩,৪ এবং ৫ জোনে ৩,০০০ স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া শিশুকে (ইউনিসেফের) বিশেষায়িত শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করবে। এই এলাকাগুলোতে দেশের সর্বোচ্চ স্কুল বহির্ভূত শিশু থাকে, যেখানে প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে একজন শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। ইউনিসেফ এই শিশুদের বিশেষ পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদান করে যাবে, যতদিন না তারা মূলধারার স্কুলে নিয়মিত অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে — প্রাইমারি স্কুল পাশ করে বা নিজ ক্লাসের পড়া বুঝতে সক্ষম হয়। আনুমানিক ৫,০০০ অভিভাবক এবং কমিউনিটি আউটরীচ প্রোগ্রাম এই কার্যক্রমের মাধ্যমে উপকৃত হবে।

আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সম্পর্কে: সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান এবং সামিট গ্রুপের পরিচালক আঞ্জুমান আজিজ খান ২০২০ সালে আঞ্জুমান এন্ড আজিজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের লালন-পালন এবং শিক্ষার মাধ্যমে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়বার লক্ষ্যে। ট্রাস্টিগণ হলেন: মুহাম্মদ আজিজ খান, আঞ্জুমান আজিজ খান, আয়েশা আজিজ খান, আদিবা আজিজ খান, আজিজা আজিজ খান, হ্যান্স কেন্ডেল, ক্রিশ্চিয়ান প্রোকপ এবং বিজয়া রাও।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.