আজ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৮ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

প্রশ্নেপত্রে সাম্প্রদায়িক বিতর্ক : অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :চলমান এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অধিকাংশেরই দাবি সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার। এ নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের নাম জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, যেহেতু ঘটনাটি যশোর বোর্ডের, সেহেতু ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবেন। তারপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্রটি যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রণীত। প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানির সঙ্গে জড়িত প্রশ্নকর্তা ঝিনাইদহের মহেশপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল। অপরদিকে প্রশ্নপত্র পরিশোধনের দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দীন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো, শফিকুর রহমান, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

এর আগে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক বিষয়কে উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন কারা সেটি করেছিল, তা বের করার চেষ্টা চলছে। বিদ্যমান নিয়মে পাণ্ডুলিপি ছাড়া তা চিহ্নিত করা যায় না। পাণ্ডুলিপি আছে ট্রেজারি অফিসে। মঙ্গলবার সেখান থেকে পাণ্ডুলিপি এনে প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও পরিশোধনকারীকে চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় আসাকে অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে সোমবার এক উনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া থাকে প্রশ্ন তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই যেন কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক কিছু না থাকে। এটা খুবই দুঃখজনক যে, কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়তো এই প্রশ্নটি করেছেন। যিনি মডারেট করেছেন তার দৃষ্টিও হয়তো কোনো কারণে এড়িয়ে গেছে। তিনিও হয়ত স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি নিয়েছে। আমরা চিহ্নিত করছি এই প্রশ্নটি কে করেছেন এবং কে মডারেটর করেছেন। আমরা তাদের খুঁজে বের করে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সূত্রমতে, সাম্প্রদায়িক ও বিদ্বেষপূর্ণ কোনো বক্তব্য যেন প্রশ্নপত্রে না থাকে, সে জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সময়ই লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্নপত্র দেখার কোনো সুযোগ থাকে না। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি বোঝা যায় না।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.