আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ নভেম্বর ২০২২, সোমবার |

kidarkar

২০০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি মূল্য বেশি দেখানো হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আমদানি ও রপ্তানি মূল্য ২০ থেকে ২০০ শতাংশ বেশি দেখানো হয়েছে।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন প্রধানত পত্রিকা মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি- কমার্শিয়াল এলসি ওপেনিং বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি সঠিক নয়।
আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে; দেখা যাচ্ছে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১০ মাসে এলসি ওপেন হয়েছে ১২৬৩ মিলিয়ন ডলার। গত মাসের এ সময়ে যা ছিল ১২৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। উল্লেখ্য, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে এলসি ওপেন হয়েছে ৪৭৪৩ মিলিয়ন ডলার।

তিনি বলেন প্রধানত করোনা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতির বহিঃখাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এখন টালমাটাল। এরই প্রভাবে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে সরবরাহ চাহিদায় ব্যত্যয় ঘটতে থাকে।
কমার্শিয়াল এলসি ওপেন বা খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। স্ব স্ব ব্যাংক তাদের রেমিটেন্স আয় ও রেমিটেন্স ব্যয় সাপেক্ষে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল বিবেচনায় তারা ঋণপত্র খুলছে,
খুলে যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিপূর্ণ গাইডলাইন মোতাবেক তদারক করে যাচ্ছে। বিশেষ তদারকিতে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে আজ অবধি বিদেশি মুদ্রায়
কোনো লোন ডিফল্ট হয়নি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তা হতেও দিবে না। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক পরামর্শ ও সাপোর্ট দিয়ে যাবে।
এছাড়া অগ্রাধিকার খাত এবং জরুরী পণ্যে (জ্বালানি, সার ও খাদ্য) আমদানিতে সরকারি ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা অক্ষুন্ন রেখে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে
সরকারি ঋণপত্রে ডলার সাপোর্ট দিয়ে চলেছে এবং যাবে।
চলতি বছরের নভেম্বর ১০ পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে ৬৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; যা গত বছরে এসেছিল ৬৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; এখানে প্রবৃদ্ধি ২.৮%। গত বছরের জুলাই থেকে সর্বশেষ নভেম্বর ১০ পর্যন্ত রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.১%।
এছাড়া মোট রপ্তানি ২০২০-২১ এ ছিল ৪০৬৩৭ মিলিয়ন যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ৩৬০৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রপ্তানিও ক্রমবর্ধনশীল ।
আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের চাহিদা ও সরবরাহে অনেকটাই ভারসাম্য অবস্থা ফিরে আসবে বলে আশা করা যায়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.