আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৫ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার |

kidarkar

আমনে বাম্পার ফলন হবে,খাদ্য সংকট হবে না- কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষিমন্ত্রী  ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে মাঠভর্তি ফসল রয়েছে। আমন ধানের অবস্থা ভালো, বাম্পার ফলন হবে। এছাড়া, দেশে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাংলাদেশে খাদ্যের কোন সংকট হবে না, দুর্ভিক্ষ হবে না।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হৈবৎপুরে আমন ধান কাটা উৎসব ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে কৃষিমন্ত্রী গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের খেত পরিদর্শন করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, কিন্তু সংরক্ষণের প্রযুক্তি না থাকায় অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটাতে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আর এই আমদানি নির্ভরতা কমাতে কৃষি মন্ত্রণালয় রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করছে। গত দুই বছরে প্রায় ১০ লাখ টন উৎপাদন বেড়েছে।

তিনি বলেন, অফ সিজনে বা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এর সম্ভাবনাও অনেক। কৃষকদেরকে বীজ, সার, প্রযুক্তিসহ সকল সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ জনপ্রিয় করতে পারলে আমরা পেঁয়াজে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয়, বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিও করতে পারব।

সার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারের মজুদ ও সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বোরো মৌসুমে সার সংকটের কোন সম্ভাবনা নেই।

পরে মন্ত্রী কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৈরি বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র ঘুরে দেখেন ও জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছেন। তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে, প্রয়োজনে আরও তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হবে। তবে জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো কৃষি যন্ত্র তৈরিতে শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে, বিনিয়োগ করতে হবে। তাহলে কৃষিযন্ত্রে আমদনি
নির্ভরতা কমবে।

এছাড়া কৃষিমন্ত্রী এদিন পলিহাউসে শাকসবজি ও চারা চাষ, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আনার চাষ, ড্রাগন, পেয়ারাসহ বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিকে লাভজনক করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। শুধু
ধান আর পাট উৎপাদন না করে উচ্চমূল্যের ফসল ও ফল চাষ করতে হবে, তাহলেই কৃষি লাভজনক হবে।

দিনের শেষে সন্ধ্যায় দামুড়হুদার মেহেরুন পার্কে মন্ত্রী নবান্ন উৎসব ও কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন এবং কৃষকদের মাঝে কৃষিযন্ত্র বিতরণ করেন।

এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.