এক মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৮৮ হাজার কোটি টাকা লেনদেন
নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইল ব্যাংকিং দেশের ব্যাংকিং সেবায় সাড়া ফেলেছে। তৃণমূল পর্যায়ে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এ ব্যাংকিং সেবা। ক্রমেই মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে লেনদেন। সমানভাবে বেড়েই চলেছে গ্রাহক সংখ্যাও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার কোটি (৮৭ হাজার ৬৮৫ কোটি) টাকা। যা তার আগের মাস আগস্টে ছিল ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২৩৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, দ্রুত শহর থেকে গ্রামে কিংবা গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই টাকা পাঠানো যায়। এতে মোবাইল ব্যাংকিং দেশের ব্যাংকিং সেবায় নতুন সম্ভাবনা এনে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট এক গতি সঞ্চার করেছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এ সেবায় যোগ হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে মোট ৮৭ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। যেখানে দৈনিক গড় লেনদেন ২৯২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। তার আগের মাস আগস্টে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল প্রায় ২৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধসহ কেনাকাটা করা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা প্রদান, প্রবাসী আয় পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছন্দের শীর্ষে মোবাইল ব্যাংকিং। এসব কারণে প্রতিদিনই গ্রাহকরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য হিসাব খুলছেন। বিপুল সংখ্যক গ্রাহক বাড়ছে প্রতি মাসে।
সেপ্টেম্বর মাস শেষে সারাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিবন্ধিত গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩২ জনে। এরমধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১০ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ৫৪ জন এবং নারী সাত কোটি ৭৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৮২ জন। আর মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা ১৫ লাখ ১২৮টি।
আলোচিত সময়ে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ২৫ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয়েছে দুই হাজার ৭৫২ কোটি টাকা, পরিষেবায় দুই হাজার ১৭৮ কোটি টাকার বিল পরিশোধ আর কেনাকাটায় লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ১২৩ কোটি টাকা
গ্রাহকরা প্রতিদিন এজেন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক হিসাব বা কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা করতে পারেন। ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু হয়। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, নগদসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে।