আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৭ নভেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

কিংবদন্তি গায়িকা রুনা লায়লার জন্মদিন আজ

বিনোদন ডেস্ক : আজ ১৭ নভেম্বর। কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন। ৭০ পেরিয়ে এদিন ৭১ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। বহু জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশ জুড়ে সুরের সুরভী ছড়িয়েছেন এই সংগীত ব্যক্তিত্ব। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলার ভাষাভাষীদের কাছে রুনা লায়লা এক গৌরবের নাম।

এক সাক্ষাৎকারে রুনা লায়লার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, গান না করলে তিনি জীবনে কী করতেন? উত্তরে নির্ভাবনায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে শিল্পী ছাড়া আর কোনোরূপেই পাওয়া যেত না। আমার জন্মই হয়েছে গানের জন্য। গান ছাড়া আমি আর কিছুই পারি না।’

১৯৫২ সালের এই দিনে রুনা লায়লা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আমিনা লায়লা ছিলেন সংগীতশিল্পী। আড়াই বছর বয়সে বাবার চাকরি বদলির সুবাদে পাকিস্তানের মুলতানে যান তিনি।

একেবারে ছোট বেলায় গানের চর্চা শুরু করেন রুনা লায়লা। ওস্তাদ হাবিব উদ্দিন আহমেদ, আবদুল কাদেরের কাছে ক্ল্যাসিক্যাল সংগীত শিখেছেন তিনি। এছাড়া পণ্ডিত গোলাম কাদিরের কাছ থেকে গজলে দীক্ষা নিয়েছিলেন।

মাত্র ৬ বছর বয়সে দর্শকের সামনে গান গাওয়া শুরু করেন রুনা লায়লা। এরপর মাত্র সাড়ে ১১ বছর বয়সে প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। করাচিতে ‘জুগনু’ সিনেমার মাধ্যমে তার সেই পথচলা শুরু হয়েছিল। তবে বাংলা সিনেমায় রুনা লায়লা প্রথম প্লেব্যাক করেন ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’ সিনেমায়।

এরপরের ইতিহাসটা তো সিনেমাপ্রেমী সবারই জানা। দেশীয় সিনেমার গানের দিকে ফিরে তাকালে হাতেগোনা যে ক’জন সংগীতশিল্পীর নাম জ্বলজ্বল করে, তাদেরই একজন রুনা লায়লা। তার কণ্ঠে অসংখ্য গান কালজয়ী হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি’, ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাব’, ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে রৈবাগী’, ‘প্রতিদিন তোমায় দেখি’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম’, ‘জীবনও আঁধারে পেয়েছি তোমারে’, ‘পান খাইয়া ঠোঁট করিলাম’ ও ‘বাড়ির মানুষ কয় আমায়’, ‘আমায় গেঁথে দাও না মাগো’ প্রভৃত

তবে এক সাক্ষাৎকারে রুনা জানিয়েছেন নিজের গাওয়া পাঁচটি পছন্দের গানের কথা। সেগুলো হলো-‘যখন আমি থাকবো নাকো’, ‘বুকে আমার আগুন জ্বলে’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো’ এবং ‘আয়রে মেঘ আয়রে’।

বাংলা-হিন্দি-উর্দু ছাড়াও গুজরাটি, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, পশতু, বেলুচ, আরবি, পারসিয়ান, মালয়, নেপালি, জাপানি, ইতালীয়, স্প্যানিশ, ফরাসি ও ইংরেজিসহ ১৮টি ভাষার গান গেয়েছেন এই গায়িকা। তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি।

সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য রুনা লায়লা পেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদক। এছাড়া ছয়বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, এরমধ্যে একবার সুরকার হিসেবে। ভারত থেকে তিনি পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার, সংগীত মহাসম্মান পুরস্কার। পাকিস্তান থেকেও পেয়েছেন বিভিন্ন সম্মাননা।

 

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.