আজ: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ নভেম্বর ২০২২, বুধবার |

kidarkar

দু’বছরে ১২ কোটি মানুষকে কানেক্ট করবে হুয়াওয়ে!

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী দুই বছরের মধ্যে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ১২ কোটি মানুষকে কানেক্টিভিটি সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি

আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের পার্টনার২কানেক্ট ডিজিটাল অ্যালায়েন্সে (জোট) যোগদানের জন্য একটি বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতিও সই করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার (২৩ নভেম্বর)হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া প্রতিষ্ঠানটির ‘২০২২ সাসটেইনেবিলিটি ফোরাম, কানেক্টিভিটি+: ইনোভেট ফর ইম্প্যাক্ট’-এ এই ঘোষণা দেন।

কীভাবে আইসিটি উদ্ভাবন ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে কানেক্টিভিটির ব্যবসায়িক ও সামাজিক অগ্রগতি এবং স্থায়িত্বকে ত্বরাণ্বিত করতে পারে, ফোরামে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইটিইউ এবং জাতিসংঘের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া এবং পাকিস্তানের টেলিকম মন্ত্রী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী নেতাগণ অনলাইনে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।পাশাপাশি, চীন,দক্ষিণ আফ্রিকা, বেলজিয়াম এবং জার্মানি থেকে অংশীদার, বিশেষজ্ঞ এবং ক্রেতারাও এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়াও, বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরাও এই অনুষ্ঠানে স্বশরীরে ও অনলাইনে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে ডক্টর লিয়াং বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে স্থিতিশীল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের বিষয়টি মানুষের মৌলিক চাহিদা। যারা সংযোগবিহীন রয়েছেন, তাদের জীবন পরিবর্তনের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে নির্ভরযোগ্য কানেক্টিভিটি। সুবিধাজনক যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্লাউড এবং কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা (এআই) এর মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে একত্রে কানেক্টিভিটি প্রত্যেককে ডিজিটাল জগতে আনতে সাহায্য করবে এবং তাদের আরও তথ্য এবং দক্ষতা এবং উন্নত পরিষেবা এবং বৃহত্তর

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সুযোগ প্রদান করবে। এর ফলে, আরও সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি।টেলিযোগাযোগ খাতের প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের সকল মানুষকে কানেক্টিভিটির সুবিধায় নিয়ে আসা। শিক্ষা, শিল্প ও টেক্সটাইল সহ প্রতিটি খাতে কানেক্টিভিটির ভূমিকা অপরিসীম; তাই, আমরাও এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং সকল অংশীজনদের সহযোগিতায় আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবে পরিণত করতে পারবো বলে আমি প্রত্যাশা করছি।’

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.