এমবাপ্পেদের বীরের সম্মানে বরণ করল ফ্রান্স
স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে গেলেও নিজ দেশে বীরের সম্মান পাচ্ছেন ফ্রান্সের খেলোয়াড়রা। তাদের এই হারকে ‘বীরত্বপূর্ণ পরাজয়’ আখ্যা দিচ্ছেন দেশটির ফরাসিরা। তাই তো তাদেরকে বীরের বেশেই বরণ করা হয়।
ফ্রান্স ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে লেখে, “জাতীয় বীরদের বরণ করছি”। এভাবেই বরণ করে নেওয়া হয় এমবাপ্পে, গ্রিজম্যান, জিরুদদের।
২০১৮ সালে এই মঞ্চে তাদের সঙ্গে ছিল বিশ্বকাপের ট্রফি। এবার নেই। তাতে কষ্ট থাকলেও নেই আক্ষেপ। কারণ মাঠে নিজেদের সর্বোচ্চটা উজার করে দিয়েছেন ফরাসি ফুটবলাররা। আর তাদের প্রচেষ্টা মন ছুঁয়েছে ফ্রান্সবাসীর।
এ জন্য বীরদের ঠিক বীরের বেশেই বরণ করে নিয়েছে ফ্রান্স। সঙ্গে প্যারিসের রাস্তায় ছিল ৫০ হাজার সমর্থক। সোমবার রাতে ফ্রান্সে পা রাখেন দিদিয়ের দেশম, হুগো লরিসরা। তখন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড শীতেও সমর্থকদের ছিল বাধভাঙা উল্লাস।
প্যারিসের ডি লা কনকর্ডে খেলোয়াড়দের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। যেখানে উষ্ণ ভালোবাসায় সিক্ত হন এমবাপ্পেরা। গ্রিজম্যান, কো ম্যান, কামাভিঙ্গে-সহ প্রায় সব খেলোয়াড়দের মুখেই হাসি ছিল। সমর্থকদের ভালোবাসায় হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের মুকুটের কথা। হাত নেড়ে ভালোবাসা ফিরিয়ে দেন তারাও।
কিন্তু এখানেও বিমর্ষ ছিলেন এমবাপ্পে। মুখে এক চিলতে হাসি ছিল না। গোল্ডেন বুট পেলেও এমবাপ্পের নজরে ছিল টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড সেভাবেই পারফর্ম করেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকায় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পাওয়া হয়নি তরুণ সুপারস্টারের।
হাত নেড়ে, চুমু উড়িয়ে সমর্থকদের ভালোবাসার জবাব দিলেও তাকে এক মুহূর্তের জন্যও হাসিমুখে দেখা যায়নি। শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার কষ্টটা এখনও রয়ে গেছে এমবাপ্পের মনে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় ফ্রান্সের। নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। পরবর্তী ৩০ মিনিটেও খেলা ৩-৩ গোলে সমতায় শেষ হয়। এরপর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হেরে যায় ফ্রান্স।
সূত্র: বিবিসি