আজ: শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ইং, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৩ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার নিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখনও লক্ষ্যমাত্রার নিচে রয়েছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি। গত বছরের নভেম্বর মাস শেষে এ খাতে মোট ১৪ লাখ ৬ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা বিতরণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে। বিতরণ হওয়া এই ঋণের হার ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেশি।

সংশ্লিষ্টদের মতে, করোনা পরবর্তী সময়ে ঋণের চাহিদা বেড়েছে। নতুন করে বিনিয়োগ করছেন উদ্যোক্তারা। ডলারের দাম বাড়ার কারণে বেশি ঋণের প্রয়োজন হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। গত ২০২১-২২ এর মুদ্রানীতিতে এটা ছিল ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ে ঋণ বৃদ্ধির প্রবণতা বিশ্লেষণ করে মুদ্রানীতিতে প্রাক্কলন কিছুটা কমানো হয়েছে চলতি অর্থবছরে।

চলতি অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়েছে। নভেম্বর শেষে এই প্রবৃদ্ধির হার ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে যা আগের মাস অক্টোবর শেষে ছিল ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। সেই হিসেবে আগের মাসের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে এক দশমিক ২৬ পয়েন্ট। সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর থেকেই ঋণের চাপ বেড়েছে। ঋণের সুদহার ৯ শতাংশের মধ্যে থাকায় অনেকেই নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। কেউ কেউ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াচ্ছেন। গত চার মাসে ডলারের দাম ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, এতে ঋণপত্রের মূল্য বেড়ে গেছে। এ কারণে ঋণও বাড়ছে। আবার চলতি বছর আবাসন, গাড়ি ও ব্যক্তিগত ঋণও বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিনিয়োগ চাহিদা কিছুটা কমেছে। সাধারণভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে থাকলেও, ২০১৯ সালের নভেম্বরে তা নেমে যায় ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে। করোনার প্রভাব শুরুর পর ২০২০ সালের মে শেষে প্রবৃদ্ধি নেমে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে। তবে পরের মাস জুন থেকে কিছুটা বাড়তে থাকে।

২০২২ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে ফেব্রুয়ারিতে তা কমে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশে নেমে আসে। মার্চে আবার বেড়ে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশে দাঁড়ায়, এপ্রিলে হয় ১২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। মে মাসে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ, জুনে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ, জুলাইয়ে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

বেসরকারি খাতে ঋণ দেওয়ার পরিমাণ আগস্টে বেড়ে হয়েছিল ১৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছিল ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.