ব্যবসার অর্ধেক অর্থ পুঁজিবাজার থেকে আসা প্রয়োজন: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজার থেকে ৫০ শতাংশ অর্থায়ন করা প্রয়োজন। এখান থেকে বেশি অর্থের যোগান করতে পারলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ক্রাইসিসের মধ্যেও আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। পুঁজিবাজার ঘুরে দাড়াবে, আমরা সেই আশা করি। উন্নয়নের সব ক্ষেত্রেই শিক্ষিত জাতি দরকার। বর্তমানে অনেক মানুষ গুজব ছড়ায়। তাই গুজবে মনযোগ দেওয়া ঠিক হবে না।
এক্সপোতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী-রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
এসময় বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, গত ১২ বছরে বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমরাও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি। পুঁজিবাজার শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। একটি পূর্ণাঙ্গ বাজার গড়তে কাজ করতে চাই। এই খাতের পত্রিকাগুলো আমাদের কাজ করতে অনেক সহযোগিতা করছে। অর্থসূচক সবসময় নতুন দিকনির্দেশনা দিয়ে পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের পাশে ছিলো। গুজব ছড়ানোয় অনেকে কাজ করছে। তাই জেনে শুনে বিনিয়োগ করতে হবে। গুজবে কান দেওয়া যাবে না।
সিএসই চেয়ারম্যান বলেন, দেশের নিবন্ধিত কোম্পানির সংখ্যা অনেক। তবে পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলোর উপস্থিতি একেবারে কম। পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজারে আসা উচিৎ। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পুঁজিবাজার থেকে আসতে হবে। এছাড়া এসডিজি অর্থায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান কমিশন আইনগত সংস্কার সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, বাংলাদেশ পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট আনিস উদ দৌলা, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও।
এতে সভাপতিত্ব করেছেন অর্থসূচক সম্পাদক ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি জিয়াউর রহমান।
এদিন জিয়াউর রহমান, বিনিয়োগকারীদের সচেতন বাড়াতে আমরা এই এক্সপো শুরু করেছিলাম। ২০১০ সালের ধসের পর বাজারের প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। তাদের সেই চিন্তাভাবনা দূর করতে এই আয়োজন করা হয়। বর্তমানে অনেকে গুজব ছড়ায়। এতে কান দেওয়া উচিৎ না। একটু ধাক্কা খেলেও বাংলাদেশ সব সংকট কাটিয়ে ভালো দিকে যাচ্ছে। তাই কোনো গুজবে কান দেওয়া উচিৎ না।
বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও দেশের পুঁজি বাজার বা শেয়ার বাজার বর্তমানে দিন দিন খাদের গভীরে ঢুকে যাচ্ছে । ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের তীব্র রক্তক্ষরণ হচ্ছে । বর্তমান শেয়ার বাজারের এই দূরাবস্থা দেখার মতো কোন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বা সরকারি কোন শীর্ষ নেতৃত্ব আছে বলে মনে হয় না । থাকলেও তাঁরা তাঁদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন । এইভাবে চলতে থাকলে অচিরেই শেয়ার বাজার বন্ধ করে দিতে হবে। তাই কালবিলম্ব না করে দেশ -বিদেশের সৎ ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের দিয়ে শেয়ার বাজার পরিচালনা করার পদক্ষেপ নিতে হবে ।