আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১৪ জানুয়ারী ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

ইরানের সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানের সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলীরেজা আকবারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্য ও ইরানের দ্বৈত নাগরিক ছিলেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আলীরেজা আকবারীকে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। কয়েকদিন ধরে যুক্তরাজ্য আলী আকবরীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইরানকে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু সেসব চাপ তোয়াক্কা না করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটি।

গত বুধবার আলী আকবরের পরিবারকে কারাগারে যেতে বলা হয়। ওইদিন পরিবারের সদস্যদের শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পান তিনি। এরপর তাকে নির্জন রুমে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সপ্তাহে আলীরেজা আকবরী একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইরান। সেখানে নিজের দোষ স্বীকার করতে দেখা যায় তাকে। তবে বলা হচ্ছে, জোরপূর্বক তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।

বিবিসি পার্সিয়ান বুধবার আলীরেজা আকবরীর একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করে। সেখানে আলীরেজা দাবি করেন, তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধের স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে, যে অপরাধ তিনি করেননি।

যুক্তরাজ্য ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও আলীরেজার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিল। মার্কিন কূটনীতিক বেদান্ত পাটেল বলেছিলেন, ‘আলীরেজার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে বিবেকবর্জিত কাজ। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

আলীরেজা যুক্তরাজ্যেরও নাগরিক হওয়ায় তার মুক্তির ব্যাপারে ইরানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন ব্রিটিশ কর্মকর্তারা। আলীরেজাকে যুক্তরাজ্যের কনস্যুলের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু যেহেতু ইরান দ্বৈত নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি দেয় না ফলে তারা এতে কোনো সায় দেয়নি।

আলীরেজা ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ওঠার পর ২০০৮ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্য থেকে ইরানে আসেন তিনি। আসার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সূত্র: বিবিসি

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.