বিনা নোটিশে অতিরিক্ত সুদ না নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাকের নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনা নোটিশে অতিরিক্ত সুদ না নিতে আবারও নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সুদহার আরোপ করার এক মাস আগে গ্রাহককে জানাতে হবে। মেয়াদের আগে ঋণ পরিশোধে এক শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। তবে সুদহার বাড়ানোর কারণে যদি কোনো গ্রাহক চুক্তি সমাপ্তি করতে চান তাহলে কোনো মেয়াদপূর্তি পূর্ব পরিশোধ ফি আদায় করা যাবে না।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্সটিটিউশনস অ্যান্ড মার্কেটস ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে নির্দেশনা দিয়েছে।
তাছাড়া প্রায়শই দেখা যাচ্ছে, ঋণচুক্তির তফসিল মোতাবেক সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধের পর গ্রাহক জানতে পারছেন তার ঋণটি সম্পূর্ণ পরিশোধ বা সমন্বয় হয়নি। প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সুদ বা মুনাফার হার পরিবর্তনের কারণে গ্রাহককে অতিরিক্ত কিস্তি বা ঋণের দায় পরিশোধ করতে হবে। এতে গ্রাহক বিভ্রান্ত হচ্ছেন এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে এরূপ অভিযোগ নিষ্পত্তিতে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দারস্থ হচ্ছেন, যা অনভিপ্রেত। এছাড়াও বিদ্যমান অগ্রীম সেটেলমেন্ট ফি এর হার যৌক্তিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সুদ বা মুনাফার হার বৃদ্ধির ফলে যদি কোনো গ্রাহক সুদ বা মুনাফা বাড়ানোর তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে কোনো ঋণ বা বিনিয়োগের অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে চুক্তির পরিসমাপ্তি ঘটাতে চান তাহলে বকেয়া স্থিতির ওপর সর্বোচ্চ ১ শতাংশ হারে মেয়াদপূর্তি পূর্ব পরিশোধ ফি আদায় করা যাবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঋণচুক্তির আওতায় সুদহার কমানো ও বাড়ানোর ক্ষেত্রে সংকুচিত বা অতিরিক্ত অর্থ পরবর্তী কিস্তির সঙ্গে সমহারে সমন্বয় করতে হবে এবং গ্রাহককে নতুন পরিশোধসূচী দিতে হবে।
সেইসঙ্গে সুদ বা মুনাফার হার হ্রাস বা বাড়ানোর কারণে যদি কোনো গ্রাহক সুদ বা মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণের তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে কোনো ঋণের অর্থ সম্পূর্ণ পরিশোধের মাধ্যমে চুক্তির পরিসমাপ্তি ঘটাতে চান, সেক্ষেত্রে কোনো মেয়াদপূর্তি অগ্রীম সেটেলমেন্ট ফি আদায় করা যাবে না।
আরো বলা হয়েছে, গ্রাহকের সঙ্গে ঋণচুক্তির আওতায় সুদ বা মুনাফার হার পরিবর্তনের যৌক্তিকতা উল্লেখপূর্বক ন্যূনতম এক মাস পূর্বে ঋণের নথিতে সংরক্ষিত সর্বশেষ হালনাগাদ যোগাযোগের ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে গ্রাহককে নোটিশ প্রদান করতে হবে। গ্রাহকের নোটিশ প্রাপ্তির প্রমাণক সংশ্লিষ্ট ঋণ নথিতে সংরক্ষণ করতে হবে বলেও জানানো হয়।