বাজার মূলধন বাড়লো দুই হাজার কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা দরপতন থেকে বেরিয়ে গত সপ্তাহে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে দেশের শেয়ারবাজারে। সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের গতি। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এতে এক সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন দুই হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়ে গেছে।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা।
এদিকে, সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৮টির। আর ২০৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২১ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি ৫ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ বাড়ে।
প্রধান মূল্যসূচক ও ডিএসই-৩০ মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে বেড়েছে ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক। গত সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ১০ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ।
সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৭০ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪২৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩৪৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা ৮১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮৫০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে ২ হাজার ১২১ কোটি ৪০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৭২৯ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৮৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯২ কোটি ৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। ১৬৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫ হাজার টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বসুন্ধরা পেপার।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, আমরা নেটওয়ার্ক, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ এবং ইস্টার্ন হাউজিং।