পুঁজিবাজার গতিশীল করতে ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের উদ্যোগ আইসিবির
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারকে আরো গতিশীল করতে ৭ হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ আইসিবি। ডিপোজিটরি ফান্ড থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক হাজার কোটি টাকা ডিমান্ড লোনের মাধ্যমে এ বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এক্সপোজারের বাইরে বিনিয়োগ এবং এক হাজার কোটি টাকা ডিমান্ড লোনের বিষয়ে বৈঠক করেছে আইসিবি। বৈঠকে আইসিবিকে সব ধরনের পলিসিগত সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আশ্বাস দিয়েছে।
এর আগে, ডিপোজিটরি ফান্ডকে এক্সপোজার লিমিটের বাহিরে বিনিয়োগ ও এক হাজার কোটি টাকার ঋণের বিষয়ে একটি বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পাঠিয়েছিল আইসিবি। সেই প্রস্তাবের বিস্তারিত জানতে ও আলোচনা করতে রোববার এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক আইনের মধ্যে থেকে নীতিগত সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।
জানা যায়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আইসিবির ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে ডিপোজিটরি ফান্ডকে পুঁজিবাজার বিনিয়োগ সীমার (এক্সপোজার লিমিট) আওতার বাইরে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা ফিরে পাবে আইসিবি। এ সংক্রান্ত আইন দ্রুত পাস করানোর জন্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। দেশের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এ বিষয়টি তুলে ধরেন।
আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবুল হোসেন জানান, রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আমরা দুটি বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছি। এরমধ্যে একটি হচ্ছে এক্সপোজারের বাইরে বিনিয়োগ এবং এক হাজার কোটি টাকা ডিমান্ড লোন। দুটি বিষয়েই কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমাদের নীতিগত সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে যে ধরনের সহযোগিতা করার প্রয়োজন হবে তা করা হবে বলেও বৈঠকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এক্সপোজারের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি পাওয়া গেলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আইসিবির ক্ষমতা বাড়বে। এছাড়া ডিমান্ড লোন তিন মাসের জন্য পাওয়া যায়। যা তিন মাস পর ফেরত দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে বর্তমানে আইসিবি অন্য কোথাও না শুধু পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে। আর ডিমান্ড লোন পাওয়া গেলে সেটাও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে।