আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৩ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

 দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

কে অ্যান্ড কিউয়ের বেড়েছে আয় কমেছে সম্পদ

শাহ আলম নূর : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কে অ্যান্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেড’র দ্বিতীয় প্রান্তিকে বেড়েছে আয় কমেছে সম্পদ। প্রতিষ্ঠানটির চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) মুনাফা ৬২ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানিটি খুবই সৌভাগ্যবান কারণ এটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রতি বছর মুনাফা বৃদ্ধি করেছে যখন অন্যান্য অনেক কোম্পানির জন্য টিকে থাকাটাই মুশকিল ছিল।
রোববার (২২ জানুয়ারী) প্রকাশিত কোম্পানিটির অর্ধবাার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে ১৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা নিট মুনাফা করেছে যা গত অর্থবছরের এ সময়ে ছিল ৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা। প্রথমার্ধে সামগ্রিক আয় বাড়লেও অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ভালো করতে পারেনি কোম্পানিটি। তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি আগামী বছরগুলিতে তার আয় স্থিতিশীল রাখতে বর্তমান ব্যবসার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসা চালু করার কথা ভাবছে। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা নিট মুনাফা করেছে।
২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১১ পয়সা। গত বছরের একই সময়েও কোম্পানিটি সম পরিমাণ আয় করেছিল।
কে অ্যান্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির সেক্রেটারি সাঈদ আহমদ বলেন, “বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা আমাদের ব্যবসাকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে, আমাদের লাভ কমিয়েছে। ফলস্বরূপ, আমাদের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক মুনাফা গত বছরের একই সময়ের সমান ছিল। ”
“ছয় মাসের ভিত্তিতে, আমাদের সামগ্রিক আয় তুলনামূলকভাবে ভাল ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে আগামী ত্রৈমাসিকে আমাদের লাভের পরিমাণ কমার আশংকা রয়েছে।” সাঈদ আহমদ বলেন, আগামী মাস থেকে কোম্পানিটি বিদ্যমান সিএনজি ব্যবসার পাশাপাশি অকটেন ও পেট্রোল বিক্রি করবে।
তিনি আরও বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাব কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বিকল্প বিনিয়োগের কথা চিন্তা করছে কোম্পানিটি।
২০২২ অর্থবছরে কোম্পানিটি সিএনজি ব্যবসা থেকে ৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা আয় করেছে, যা আগের বছরে ছিল ৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এছাড়া, বালু ও পাথর ব্যবসা থেকে এর আয় আগের বছরের ৩.৫৩ কোটি টাকার বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩.০৬ কোটি টাকা রেকর্ড করা হয়েছে।
গত বছরে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অর্ধ-বার্ষিকে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ১৬ পয়সা বিপরীতে ২০২৩ এর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ২৬ পয়সা।
এর শেয়ার প্রতি নিট নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস)২০২২ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য (১.২১)টাকা ছিল যা ২০২১ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে ছিল ১৬ পয়সা।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে এর শেয়ার প্রতি নেট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৭৪ টাকা ১৭ পয়সা। মাল্টিমোড গ্রুপের কোম্পানিটি বর্তমানে তাদের কারখানা প্রাঙ্গণে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন পরিচালনা করছে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশ ভুটান ও ভারত থেকে পাথর আমদানি বিক্রি করছে।
কোম্পানিটি ২০২২ অর্থবছরে ২৯ লাখ টাকা লাভ করলেও এটি তার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে তার পরিশোধিত মূলধন বর্তমান ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ কোটি টাকা করতে বলেছে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.