শেয়ারবাজার রিপোর্ট: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের পতনে শেষ হয় লেনদেন। প্রথম ভাগে ক্রয় চাপের ফলে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবনতা দেখা যায়, পরবর্তীতে কিছুটা মিশ্র প্রবনতাই লক্ষ্য করা যায় এবং প্রথম ঘন্টা পর পুনরায় বিক্রয় চাপ বৃদ্ধির ফলে নিন্মমুখী প্রবনতাই শেষ হয় লেনদেন। দিনশেষে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও উভয় বাজারে কিছুটা কমেছে লেনদেন।

সেল প্রেসারের কবলে পড়েছে শেয়ারবাজার। এর ফলে গত ২ কার্যদিবস যাবৎ বিদ্যমান রয়েছে নিম্মমুখী প্রবণতা। তবে আজকের পতনে হতাশ নয় বিনিয়োগকারীরা। কেননা শেয়ারবাজারে একদিন সূচক বাড়বে আরেকদিন কমবে এমনটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

রোববার দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৭৮৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১৮৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৮৪৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ২০২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার দর। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

এর আগে বৃহস্পতিবার ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪৮০৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১৯১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৮৫৯ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয় ৬০৩ কোটি ২৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৬৯ কোটি ৮৪ লাখ ৩ হাজার টাকা ১১.৫৮ শতাংশ।

এদিকে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ৫৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮৯৪৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ১৬১টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির। যা টাকায় লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

এর আগে বৃহস্পতিবার সিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮৯৯৯ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ  সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা বা ২০.৭৫ শতাংশ।

 

শেয়ারবাজারনিউজ/অ