আজ: শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইং, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ জানুয়ারী ২০২৩, শনিবার |

kidarkar

সরকারি আমদানিতে ছয় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার ৮০% ব্যয় করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার সহায়তা নিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থাৎ গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের বৈদেশিক মুদ্রার ৮০ শতাংশই ব্যয় করেছে সরকারি আমদানিতে।

২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ৭.৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। এরমধ্যে খাদ্য, সার এবং জ্বালানি আমদানির জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে ৭.২ বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আমদানি হয়েছে ১০.৬৮ বিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে সরকারি পণ্য আমদানি হয়েছে ৮.৪১ বিলিয়ন ডলার, যা তাদের মোট আমদানির প্রায় ৮০ শতাংশ।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক গত ছয় মাসে ২.৮৫ বিলিয়ন ডলার ইম্পোর্ট এলসি খুলেছে। এরমধ্যে সরকারি আমদানির পরিমাণ ছিল ২.৬৯ বিলিয়ন ডলার। যা তাদের মোট আমদানির ৯৪%।

এছাড়া এই সময়ে বেসরকারি আমদানি ছিল মাত্র ১৬১ মিলিয়ন ডলার।

একইভাবে, ২০২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মোট আমদানির মধ্যে অগ্রণী, জনতা এবং রূপালীর সরকারি আমদানি ছিল যথাক্রমে ৬৮%, ৭৭.৪৩% এবং ৮০%।

ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমে আসায় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রি কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। আমদানিকারক যদি সরকার হয় এবং বিদেশ থেকে আনা সামগ্রীগুলো যদি সত্যিই প্রয়োজনীয় বলে প্রতীয়মান হয়, কেবল সেক্ষেত্রেই ডলার দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সাধারণত সরকারিভাবে আমদানি করা পণ্যের মধ্যে থাকে চাল, গম, সার ও জ্বালানি তেল। তবে খাদ্য আমদানির যে তথ্য রয়েছে তাতে দেখা গেছে, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের বেসরকারি খাতেই সবেচেয়ে বেশি খাদ্য আমদানি হয়। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেও একই চিত্র দেখা গেছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে আমদানি ঋণপত্র বা এলসি খোলার পরিমাণ কমে যাওয়ায় রমজানের আগে প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানি নিয়ে ব্যবসায়ী ও বেসরকারি আমদানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তারা বলছেন, রমজানের সময় সাধারণত খেজুর, ছোলা, ভোজ্যতেল ও চিনির মতো পণ্যের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে যায়, যার বেশির ভাগই আমদানি করতে হয়। আর রমজানে এসব খাদ্যপণ্যের সরবরাহ বিঘ্নিত হলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.