মায়ার মন্ত্রিত্ব নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ
![](https://www.sharebazarnews.com/wp-content/uploads/2015/08/Maya.jpg)
শেয়ারবাজার রিপোর্ট: ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মন্ত্রিত্ব ও সংসদ সদস্য পদের বৈধতা নিয়ে করা রিট আবেদনে বিভক্ত আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী রুল জারি করলেও কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী কোন কর্তৃত্ববলে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রী পদে আছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে মায়াকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৭ জুলাই মায়ার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনূস আলী আকন্দ। এখানে মায়ার মন্ত্রী ও সংসদপদে কার্যক্রমের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। রিট আবেদনে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে রায়ে তাকে খালাস দেয়া হয়। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় বাতিল করে নতুন করে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেয়।
সংবিধান অনুযায়ী আপিলের বিভাগের রায়ের পর মায়ার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকা সমীচীন কিনা, এমন বিতর্কের জেরে মায়াকে আইনি নোটিশ পাঠান ইউনূস আলী আকন্দ। পরে তিনি রিট আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ এর ২ (ঘ) দফা অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘যদি কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অনূন্য দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তবে তিনি সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না’।
ইউনুস আলীর মতে, যেহেতু মায়ার খালাসের রায় বাতিল হয়ে গেছে, সেহেতু তার সাজা বহাল হয়ে গেছে। এখন তিনি আর পদে থাকতে পারেন না।
শেয়ারবাজারনিউজ/মু