দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হলো: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : কিছুক্ষণ আগে আমরা পাতাল রেলের কাজের উদ্বোধন করলাম। এর আগে আপনাদের উড়াল মেট্রোরেল উপহার দিয়েছি৷ এটা ওপর দিয়ে যাচ্ছে, এবার মাটির নিচ দিয়ে পাতাল রেল। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক স্থাপিত হলো।
বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-১) নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধনের এক মাসের মাথায় পাতাল মেট্রো রেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন তিনি।
বেলা ১১টার কিছু পর নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা। এতে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানিরা ২৭৮টি রেল ব্রিজ ধ্বংস করেছিল, ২৭০টি সড়ক ব্রিজ ধ্বংস করে। এক কোটি শরণার্থী, তিন কোটি গৃহহারা, একটা টাকা রিজার্ভ নেই। সেই ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রা শুরু করে জাতির পিতা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেন। বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তিনি ব্যাপক কর্মসূচি নেন।’
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে এ বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এবার বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করা হবে।
মেট্রোরেলের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছি। এই কাজ যখন শুরু করতে যাই, তখন জঙ্গির উত্থান হলো। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় বিদেশি নাগরিকদের হত্যা করা হয়। ৭ জন জাপানি নাগরিককে হত্যা করা হয়। যারা মেট্রোরেলের কাজে যুক্ত ছিলেন। আমি তাদের স্মরণ করি। এই ঘটনার পরও জাপান সরকার তাদের সহযোগিতার হাত গুটিয়ে নেননি। তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।