আজ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তারা সাইলেন্ট কিলার: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : খাদ্যে ভেজালকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সাইলেন্ট কিলার (নীরব ঘাতক) হিসেবে অভিহিত করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তারাই সাইলেন্ট কিলার। এই কাজ যারা করছে, তাদের কাছে আমাদের পৌঁছাতে হবে। সবাই মিলে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরকার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন দ্রুত খাদ্য নিরাপদ করতে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট খাদ্য দরকার। সেজন্য স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি গড়ে তুলতে হবে, যা বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে অসম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আমরা যত দ্রুত পারি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা চাই। কিন্তু তার জন্য অনেক কাজ করতে হবে। তবে আমাদের লক্ষ্য অনেক লম্বা মনে করলে চলবে না। সেটা যত তারাতাড়ি সম্ভব নিশ্চিত করতে হবে।

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি প্রতিবাদী হওয়া প্রয়োজন মন্তব্য করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে শতভাগ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করবে সরকার।

এর আগে খাদ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জিং। এরপর আসে খাদ্য নিরাপদ কতটা। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তবে এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এটা সরকারি সংস্থা বা কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়।

তবে, আমদানি রপ্তানি ঠেকানোর জন্য নয়, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়ন করা জরুরি। যে খাদ্য নিরাপদ নয় সেটা খাদ্য বলতে চাই না, যোগ করেন সচিব।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, জেনেশুনে অনিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত, ভোক্তা ঠকানো কিংবা বাণিজ্যিক লাভের আশায় যারা খাদ্য ভেজাল করে তারা জ্ঞানপাপী। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সচেতন হওয়া জরুরি বলেও মনে করেন তারা।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.