আজ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

ভবিষ্যতের দক্ষ প্রজন্মের সম্ভাবনা উদযাপনে আয়োজিত হল গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমি নাইট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমি সিসকো নেটওয়ার্ক অ্যাকাডেমি ফোরআইআর লার্নিং চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে সম্প্রতি রাজধানীর জিপিহাউসে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমি নাইট’। অনুষ্ঠানটির আয়োজকের ভূমিকায় ছিল গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমি।

বিনামূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমি গত বছর দেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টাউন হল চালু করে এবং ফোরআইআর লার্নিং -এর আওতায় সাইবার-সিকিউরিটি, আইওটি এবং পাইথনের ওপর কোর্স নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এছাড়াও শুধুমাত্র মেয়েদের জন্যও পৃথক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল: আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; ইসলামী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ; ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাহিম রাজ্জাক, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান মো.মহিউদ্দিন আহমেদ। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান এবং প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেনের পাশপাশি অনুষ্ঠানে আগত সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং জ্যেষ্ঠ অনুষদ সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে নাহিম রাজ্জাক, এমপি; বলেন, “তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমি এক উদ্ভাবনী এবং অনন্য উদ্যোগ। আমি আশা করি, এমন উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ইকোসিস্টেমে সম্পৃক্ত অন্যান্য অংশীজন ও প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এমন আরো নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।”

অনুষ্ঠানে একটি অংশগ্রহণমূলক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান; বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন -এর উপাচার্য রুবানা হক; বুয়েটের প্রভাষক এনায়েত চৌধুরী এবং গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থী রিফাহ নানজিবা (ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক) ও তৌকির ইসলাম (আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক) এ প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।

বিটিআরসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের আমি আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের নতুন কিছু শেখার এবং দেশে স্কিল-গ্যাপ দূর করার লক্ষ্যে হাতে-কলমে সমাধানের সুযোগ তৈরি করার জন্য আমি গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমিকেও অশেষ ধন্যবাদ জানাই।”

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনলাইনে নিরাপদ রাখতে গ্রামীণফোন বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, আমরা তরুণদের ক্ষমতায়নে তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতায় দক্ষ করে তুলতে এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে’ তাদের নেতৃত্বদানে সক্ষম করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে আমাদের সবার নিজেদের অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমি আমাদের একাধিক উদ্যোগের মধ্যে একটি। সবাইকে আপস্কিল করার মাধ্যমে তাদের স্মার্ট নাগরিক করে গড়ে তোলার উদ্যোগ হিসেবে জিপি অ্যাকাডেমি গড়ে তোলা হয়েছে। এ খাতে কাজের সুযোগ করে দেয়ার জন্য এবং এ অ্যাকাডেমির কার্যক্রম পরিচালনায় আমাদের পাশে থাকার জন্য আমি অ্যাকাডেমিকদের ধন্যবাদ জানাই।”

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন এবং গ্রামীনফোনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সমন¦য়ে একটি ‘গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমিক বেঞ্চ’ -এর ঘোষণা দেন। ইউল্যাব’ এর উপাচার্য প্রফেসর ইমরান রহমানের সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য, একাডেমিয়া, বিভিন্ন শিল্পখাত ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন গঠনের লক্ষ্যে ২০২২ সালের মে মাসে গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমি চালু করা হয়। লিঙ্গসমতা বজায় রাখার লক্ষ্যে গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমিতে নারী শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপরও বিশেষভাবে জোর দেয়া হয়।

এযাবৎ ১৭০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৪৫ হাজার শিক্ষার্থী অ্যাকাডেমিতে যুক্ত হয়েছেন এবং ৮ হাজার ২শ’ জন মেধাবী নারী শিক্ষার্থীসহ মোট ২৩ হাজার শিক্ষার্থী অ্যাকাডেমি থেকে সনদ লাভ করেছেন। বর্তমানে, গ্রামীণফোন অ্যাকাডেমির অধীনে ক্যারিয়ার প্রস্তুতি, ব্যবসায় উদ্যোগ, ভবিষ্যতমুখী শিল্প-দক্ষতা, ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রিল্যান্সিং-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতার বিকাশে মোট ১৪টি কোর্স গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এই উদ্যোগে গ্রামীণফোনের কনটেন্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে সিসকো নেটওয়ার্ক অ্যাকাডেমি, আমার ই- স্কুল, ক্রিয়েটিভ আইটি ও ব্রাইট স্কিলস।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.