কর্পোরেট করের সুবিধা পাচ্ছে না বড় কোম্পানিগুলো: এমসিসিআই
নিজস্ব প্রতিবেদক : কেবল বড় করদাতাদের ওপর চাপ না দিয়ে করের আওতা আরও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি -এমসিসিআই। বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব ভবনে আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় এ দাবি জানানো হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিবেচনার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন ও শুল্ক আইন সংস্কারে ১১৮ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এসময় এমসিসিআইয়ের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সরকার ধারাবাহিকভাবে কর্পোরেট কর কমিয়ে আনলেও বড় কোম্পানিগুলো তার সুবিধা নিতে পারছে না।
তিনি জানান, আইনের নানা সীমাবদ্ধতার কারণে এখনও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কর গুণতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আগামী বাজেটে রপ্তানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আবারও শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ করার দাবি জানান এমসিসিআইয়ের নেতারা।
এছাড়াও কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্থানীয় শিল্পের বিকাশে সহায়ক বাজেট নীতি দেয়ার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। তারা দাবি জানান, দেশিও উদ্যোক্তাদের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে প্রয়োজনীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক মুক্ত সুবিধা নিশ্চিত করার। এছাড়াও নতুন বিনিয়োগে শুল্ক ও মূসক ছাড়সহ নানা নীতি সহায়তা বাজেটে নিশ্চিত করারও তাগিদ দেন ব্যবসায়ী নেতারা।
এছাড়াও আগাম করের বোঝা হালকা করাসহ ব্যবসা চাঙ্গা হয় এমন বাজেট নীতি দেয়ারও দাবি জানানো হয় প্রাক বাজেট আলোচনায়। এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, আইনে ফাঁক ফোকড়ের সুযোগে অনেক কর কর্মকর্তা অযথা হয়রানি করে। এজন্য আয়কর, মূসক ও শুল্ক আইনের অস্পষ্টতা দূর করারও দাবি জানায় এমসিসিআই।
এসময় এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশিও শিল্পকে উৎসাহিত করতে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এজন্য সাপ্লিমেন্টারি শুল্কসহ কাস্টমস আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে বলেও জানানো হয়।