আজ: সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ইং, ১২ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৫ মার্চ ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

কেন ফটো সাংবাদিকদের বেডরুমে চলে আসতে বলেছিলেন সাইফ?

বিনোদন ডেস্ক : দিন কয়েক আগেই ফটো সংবাদিকদের ওপর মেজাজ হারান বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। কটাক্ষের সুরে ‘বেডরুমে চলে আসুন’ বলেও মন্তব্য করেন। পরে শোনা যায়, এই ঘটনায় চাকরি হারান সেই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা! অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন ছোট নবাব।

সম্প্রতি এক বিবৃতিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন সাইফ। তিনি জানান, আবাসনের কোনও নিরাপত্তাকর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়নি। কারণ গোটা ঘটনায় তাদের কোনো দোষ ছিল না। এর পাশাপাশি ফটো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও কোনো আইনি অভিযোগ তিনি করছেন না। কারণ সে পথে তিনি এখনই হাঁটতে চাননি।

অভিনেতার কথায়, ‘আবাসনের নিরাপত্তাকর্মীদের তোয়াক্কা না করেই প্রায় ২০ জন চিত্র সাংবাদিক ঢুকে পড়েন। যা মোটেই শোভনীয় আচরণ নয়। কারো ব্যক্তিগত জায়গায় এভাবে ঢুকে পড়াটা অন্যায়, প্রত্যেকেরই নিজের সীমার ভেতরে থেকে কাজ করা উচিত।’

শুধু সাইফ-কারিনা নন, নিস্তার নেই তাদের দুই ছেলে তৈমুর আলি খান ও ছোট্ট জেহ আলিরও। ফটোশিকারিরা সারাক্ষণ ব্যস্ত তাদের লেন্সবন্দি করতে। যদিও অন্য দম্পতিদের মতো সংবাদমাধ্যমের আড়ালে নয়, বরং দুই সন্তানকে তারা বড় করে তুলছেন লোকচক্ষুর সামনেই। তবে মাঝেমধ্যে তৈমুরের স্কুলের বাইরে আলোকচিত্রীদের দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন বাবা সাইফ আলি খান।

আলোকচিত্রীরা সেদিন সীমা অতিক্রম করে ফেলেছিল বলেও মত দেন সাইফ। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় আলোকচিত্রীদের সহযোগিতা করি। আমরা ওদের কাজটা বুঝি, সব সময় হাসিমুখে পোজ দিয়ে থাকি। কিন্তু সেটা বাইরে, বাড়ির ভেতরে নয়। এরকম চলতে থাকলে তো সীমা থাকে না? সেই কারণেই আমি বেডরুমের প্রসঙ্গ টেনেছিলাম। কারণ ওরা সেই সীমা পার করে গিয়েছিল। গোটা বিষয়টা খুবই বিরক্তিকর।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার মা জয়েস অরোরার জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পর নিজেদের বাসাতেই ফটো সাংবাদিকদের খপ্পরে পড়েন সাইফ-কারিনা। গেট পেরিয়ে বাড়ির ভেতর ঢুকতেই তারা দেখেন আলোকচিত্রীরা পোজ দিতে বলেছেন তাদের। স্বাভাবিকভাবেই ধৈর্যচ্যুতি ঘটে অভিনেতার।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.