আজ: সোমবার, ০৬ মে ২০২৪ইং, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ মার্চ ২০২৩, সোমবার |

kidarkar

নিয়ম লংঘন করে বিনিয়োগ: আইসিবি’র ক্ষতি ৮৪ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষায় বেশ কয়েকটি অনিয়ম, দুর্নীতি ও আইন লঙ্ঘন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আয়মন টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি লিমিটেডকে ইক্যুইটির বিপরীতে অগ্রিম প্রদান এবং গ্লোবাল জুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ডিবেঞ্চার সহায়তায় আইসিবির ৮৪ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষার আওতাধীন কোম্পানির আলোচ্য অর্থবছরের নিরীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্যমতে, অন্য ব্যাংকের অর্থায়িত প্রকল্পে ইক্যুইটির বিপরীতে অগ্রিম প্রদান এবং প্রকল্পবহির্ভূত সম্পত্তি জামানত হিসেবে গ্রহণ করায় কোম্পানির এখনও অনাদায় রয়েছে ৪৪ কোটি ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩২১ টাকা। এছাড়া অন্য ব্যাংকের দায় থাকা সত্ত্বেও ডিবেঞ্চার খাতে বিনিয়োগ এবং টাকা আদায় না হওয়ায় কোম্পানির ক্ষতি হয়েছে ৩৯ কোটি ৪৩ লাখ ৩ হাজার ৩৭৭ টাকা।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অডিট চলাকালে কোম্পানির বেশ কয়েকটি আর্থিক অনিয়ম ও বিধি-বিধানের লঙ্ঘন দেখা গেছে। মূলত প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতা ও আর্থিক বিধি-বিধান পরিপালন না করার কারণে প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়গুলো নজরে এসেছে। প্রতিবেদনে ৪৩৮ কোটি ৫০ লাখ ৭২ হাজার ৯৪২ টাকা অনাদায় ও ক্ষতি পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে গুরুতর ও উল্লেখযোগ্য অনিয়মগুলো হচ্ছে, অন্য ব্যাংকের দায় থাকা সত্ত্বেও প্যারিপাসু চার্জ সৃষ্টি করে ডিবেঞ্চার খাতে বিনিয়োগ করা, মঞ্জুরিপত্রের

শর্ত ভঙ্গ করে অতিরিক্ত ইইএফ সহায়তা মঞ্জুর, প্রকল্পবহির্ভূত সম্পত্তি জামানত হিসেবে গ্রহণ করা, ভিন্ন ব্যাংকের সীমাতিরিক্ত দায় এবং পুনঃতফসিলকৃত ঋণ থাকা সত্ত্বেও ঋণ মঞ্জুরি ও বিতরণ, মঞ্জুরিপত্রের শর্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন না করা, অস্তিত্ববিহীন প্রকল্পে অর্থায়ন, মঞ্জুরিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে প্রকল্প বিনিয়োগের টাকা আত্মসাৎ, ইক্যুইটির পরিমাণ বৃদ্ধি, প্রকল্প সম্পত্তির অতিমূল্যায়ন প্রভৃতি।

নিরীক্ষায় বলা হয়েছে, আইসিবি অন্য ব্যাংকের অর্থায়িত প্রকল্পে ইক্যুইটির বিপরীতে অগ্রিম প্রদান এবং প্রকল্পবহির্ভূত সম্পত্তি জামানত হিসেবে গ্রহণ করায় প্রতিষ্ঠানের ৪৪ কোটি ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩২১ টাকা অনাদায় রয়েছে।

বিস্তারিত নিরীক্ষায় দেখা যায়, আইসিবি আয়মন টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি লিমিটেডকে ইক্যুইটির বিপরীতে অগ্রিম খাতে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছে। এ অর্থ দিয়ে মেশিনারিজ আমদানি, ভবন নির্মাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতে ব্যয়ের জন্য ঋণ বরাদ্দ করা হয়। পরে আইসিবি প্রস্তাবিত প্রকল্পে বিএমআরই-এর আওতায় ইক্যুইটির বিপরীতে অগ্রিম খাতে অতিরিক্ত ১০ কোটি টাকা অর্থায়ন করে। আয়মন টেক্সটাইলে মূল অর্থায়নকারী প্রাইম ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। কিন্তু আইসিবি মূল প্রকল্পের বাইরে ৫২০ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি নিরাপত্তা জামানত হিসেবে গ্রহণ করে অর্থায়ন করায় বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে বলে নিরীক্ষায় জানানো হয়।

এদিকে ২৫ কোটি টাকা মঞ্জুরির শর্ত নং ৮ মোতাবেক ভিন্ন দাগে ৫৩৩ শতাংশ জমি পাওয়ার অব অ্যাটর্নিসহ রেজিস্টার্ড মর্টগেজ বা জামানতের দলিল থাকলেও বিভিন্ন সময়ের পরিদর্শন প্রতিবেদনে ৫২০ শতক জমির বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। ১০ কোটি টাকার বিএমআরই প্রদানকালে ১১৭ শতাংশ জমি রেজিস্টার মর্টগেজ হিসেবে রাখার শর্ত দেয়া হয়। কিন্তু মর্টগেজ করার আগে প্রকল্প মালিক ৪৫ শতাংশ জমি হারিয়েছে জানিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হলফনামার মাধ্যমে মর্টগেজ দেয়। অপরদিকে মঞ্জুরিপত্রের শর্ত নং ৪ অনুযায়ী, কোম্পানিকে প্রথম কিস্তির অর্থ বিতরণের ১২ মাসের মধ্যে পাবলিক শেয়ার ইস্যু করার বিষয়ে বলা হয়েছে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সম্পূর্ণ ঋণ ৫ বছরের মধ্যে পরিশোধের শর্ত দেয়া হয়। কিন্তু সে মোতাবেক নিয়মিত কিস্তির টাকা আদায় হয়নি। ঋণ মঞ্জুরির শর্ত মোতাবেক পাবলিক শেয়ার ইস্যু না হওয়ায় এবং শর্ত মোতাবেক কোনো টাকা আদায় না হওয়ায় ঋণ দুটি পরিশোধের জন্য ১ম বার পুনঃতফসিলিকরণ করা হয়। এরপরও কোম্পানি পুনঃতফসিল মোতাবেক কোনো টাকা পরিশোধ না করায় পুনঃতফসিল সুবিধা বাতিল করা হয়। সবশেষে গ্রাহককে পাওনা পরিশোধের জন্য ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর চূড়ান্ত নোটিশ দেয়া হলেও গ্রাহক কোনো টাকা পরিশোধ করেনি। এতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ হিসাব দুটি মন্দ ও ক্ষতিজনক বা খেলাপি ঋণ হওয়ায় উল্লেখিত টাকা অনাদায় রয়েছে।

এ বিষয়ে নিরীক্ষা চলাকালীন আইসিবি জবাব দিয়েছে, শর্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি পাবলিক শেয়ার ইস্যু করতে ব্যর্থ হয়। এরপর কোম্পানিকে ত্রৈমাসিক কিস্তিতে আইসিবি কর্তৃক নির্ধারিত হারে সুদসহ সমুদয় অর্থ পরিশোধ করার জন্য পরিশোধসূচি দেয়া হয়। সে অনুযায়ী কোম্পানি কিছু অর্থ পরিশোধ করেছে। এখানে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। প্রকল্পটিতে যেহেতু অন্য দুটি ব্যাংকের অর্থায়ন ছিল এবং প্রকল্পটি ওই দুই ব্যাংকে জামানত হিসেবে বন্ধক থাকায় আলোচ্য প্রকল্পে আইসিবির অর্থায়নের সময় সহজামানত হিসেবে প্রকল্পের বাইরে ৬৫০ শতাংশ জমি আইসিবির অনুকূলে রেজিস্টার্ড মর্টগেজ রাখা হয়। সমুদয় পাওনা পরিশোধের জন্য কোম্পানিকে ১৯ এপ্রিল ২০১৮ নোটিশ দেয়া হয়। পরবর্তীকালে দায়দেনা পরিশোধের জন্য ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর চূড়ান্ত নোটিশ দেয়া হয়। হিসাববিজ্ঞান ও ব্যাংকিং খাতে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে আলোচ্য প্রকল্পের অনুকূলে ১ কোটি ৪১ লাখ ৫১ হাজার ৯০০ টাকা আয় খাতে ক্রেডিট করা হয়। এদিকে অন্য ব্যাংকের দায় থাকা সত্ত্বেও ডিবেঞ্চার খাতে বিনিয়োগ এবং টাকা আদায় না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের ৩৯ কোটি ক্ষতির বিষয়ে নিরীক্ষায় বলা হয়েছে, আইসিবি অন্য ব্যাংকের দায় থাকা সত্ত্বেও ডিবেঞ্চার খাতে বিনিয়োগ এবং টাকা আদায় না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের ৩৯ কোটি ৪৩ লাখ ৩ হাজার ৩৭৭ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

বিস্তারিত নিরীক্ষায় দেখা যায়, গ্লোবাল জুট ইন্ডাস্ট্রিজকে আইসিবি ২৫ কোটি টাকার রিডিমেবল, নন-কনভার্টেবল, নন-কিউমুলেটিভ, নন-পার্টিসিপেটিভ ডিবেঞ্চার সহায়তা (১ বছর রেয়াতি সুবিধাসহ) ২০টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে ঋণ দেয়। শর্ত মোতাবেক কোনো টাকা আদায় না হওয়ায় ঋণের পরিশোধসূচি প্রথম বার পুনঃতফসিল করা হয়। কিন্তু উদ্যোক্তা নিয়মিত কিস্তির টাকা না দেয়ায় পুনঃতফসিল বাতিল হয়।

এদিকে ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর আইসিবির পরিচালনা পর্ষদে উত্থাপিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রকল্পের বর্ধিতকরণ, ব্যাংকিং সুবিধার জন্য দুই ব্যাংকের পরিবর্তে শুধু আইসিবির সঙ্গে ব্যাংকিং এবং ঋণ পরিশোধের শর্তে সংগৃহীতব্য অর্থ ব্যয় করার উদ্দেশ্যে আলোচিত ঋণ মঞ্জুর করা হয়। একই বছর ১৩ নভেম্বর মঞ্জুরিপত্রের ১৪নং শর্ত বাতিল করে অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে প্যারিপাসু চার্জ সৃষ্টি করে টাকা বিতরণ করা হয়। তবে সেখানে বলা হয়, অগ্রণী ব্যাংক থেকে নেয়া কোম্পানির সব প্রকার ঋণের দায় কোম্পানির নিজ তহবিল থেকে পরিশোধের পর ব্যাংক থেকে দেয়া প্রত্যয়নপত্র আইসিবিতে জমা দিতে হবে। এরপর আইসিবি থেকে অর্থ ছাড় করা হবে।

এতে প্রমাণিত হয়, উদ্যোক্তারা অগ্রণী ব্যাংকের দায় পরিশোধে সক্ষম ছিলেন না। ফলে শর্তটি বাতিল করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং জামানত বৃদ্ধি না করে একই সম্পত্তিকে জামানত রেখে অর্থায়ন করা আইসিবির স্বার্থ পরিপন্থি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ ও উৎসাহ প্রদান, পুঁজিবাজার উন্নয়ন, সঞ্চয় সংগ্রহ এবং প্রাসঙ্গিক সব প্রকার সহায়তা করা আইসিবির উদ্দেশ্য। কিন্তু অন্য ব্যাংকের দায় থাকা সত্ত্বেও উল্লিখিত প্রকল্পে অর্থায়ন করা হয়েছে, যা আইসিবির উদ্দেশ্যের পরিপন্থি।

অ্যাপ্রাইজাল ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টে বন্ধকি জমি হিসাবে উল্লেখ রয়েছে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ জমি। কিন্তু ওই জমির মূল দলিল বন্ধকদাতারা আইসিবিতে জমা করতে পারেনি এবং উল্লিখিত স্থানে তৃতীয় ও চতুর্থ তলাবিশিষ্ট দুটি ভবন পাওয়া যায়। যেহেতু আইসিবি নিরীক্ষা দলকে বন্ধকি সম্পত্তিগুলোর কোনো মূল দলিল দেখাতে পারেনি, ফলে বন্ধকী সম্পত্তির অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় রয়েছে। এছাড়া ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবেদনে বন্ধকি সম্পত্তির ত্রুটি উল্লেখ করার পরও একই বছর ৩০ মার্চ মঞ্জুরিকৃত অর্থের প্রথম কিস্তি ছাড় করে আইসিবি, যা করা সঠিক হয়নি। আরও উল্লেখ্য, হিসাবটিতে মঞ্জুরিকৃত অর্থ থেকে আইডিসিপি কর্তন বাবদ ২ কোটি ২৫ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪ টাকা ও সুদ বাবদ ১১ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। দায়-দেনা পরিশোধ, কোম্পানি ও পরিচালকদের বিভিন্ন নথিপত্র এবং কোম্পানির সর্বশেষ নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী চেয়ে রিকভারি দেখিয়ে দেখা করেননি।

ডিপার্টমেন্ট থেকে একাধিক পত্র পাঠানো হয়। কিন্তু কোম্পানি থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি, যা থেকে বোঝা যায়, বর্তমানে কোম্পানির কোনো কার্যক্রম চলমান নেই। বর্তমানে ঋণটি মন্দ ও ক্ষতিজনক বা খেলাপি ঋণ হিসেবে ৩৯ কোটি ৪৩ লাখ ৩ হাজার ৩৭৭ টাকা অনাদায় রয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানিটি জানিয়েছে, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর সংশোধিত মঞ্জুরিপত্রের আলোকে অগ্রণী ব্যাংকের অর্থায়ন ঠিক রেখে আইসিবি কর্তৃক যৌথভাবে প্রকল্পের সম্প্রসারণের জন্য অর্থায়ন করা হয়েছে। যেহেতু প্রকল্পে অগ্রণী ব্যাংক ও আইসিবি কর্তৃক যৌথভাবে অর্থায়ন করা হয়েছে, সেহেতু কোম্পানির সম্পদের ওপর প্যারিপাসু চার্জ সৃষ্টি করা হয়, যা দেশের প্রচলিত প্রথা/আইন ও ব্যাংকিং নীতিমালার আওতাধীন । কোম্পানি বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে ডিবেঞ্চার ইস্যু করার মাধ্যমে আইসিবি থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে। ওই অর্থ প্রকল্প সম্প্রসারণের জন্য দেয়া হয়েছে, কোনো ব্যাংক ঋণ নেয়া হয়নি। প্রকল্পের বিনিয়োগকৃত টাকা আদায়ের লক্ষ্যে উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এছাড়া অন্য ব্যাংকের দায় থাকা সত্ত্বেও প্যারিপাসু চার্জ সৃষ্টি করে ডিবেঞ্চার খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। একই সম্পত্তি প্যারিপাসু চার্জ সৃষ্টি করে বন্ধক গ্রহণ করায় বাস্তবে সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। ফলে বিনিয়োগটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। তাছাড়া ত্রুটিপূর্ণ সম্পত্তি বন্ধক রাখার বিষয়টি জবাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। ওপরের দুটি বিষয়েই নিরীক্ষক জানিয়েছে, বিষয় দুটি নিয়ে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর গুরুতর আর্থিক অনিয়ম হিসেবে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু জবাব না পাওয়ায় একই বছরের ৩ মার্চ তাগিদপত্র দেয়া হয়। পরে সে বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কর্তৃক আপত্তি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রমাণকসহ জবাব প্রেরণের জন্য আইসিবিকে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশ মোতাবেক আইসিবি কর্তৃক কোনো কার্যক্রম নেয়া হয়নি বলে নিরীক্ষায় জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বেশ কয়েকদিন ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। সেই সঙ্গে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। এছাড়া তার সঙ্গে দেখা করতে অফিসে গেলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে দেখা করেননি।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.