আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

বিএনপি ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল। যে ভাষণ ইউনেস্কো পৃথিবীর অন্যতম সেরা ভাষণের স্বীকৃতি দিয়েছে সেই ভাষণ তারা এই বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকাকালে নিষিদ্ধ করেছিল। এই দিবসের প্রতি, তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তাদের ন্যূনতম বিশ্বাস আছে, চেতনা ধারণ করে- সেটা আমরা বিশ্বাস করি না।

৭ মার্চ উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তনের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ স্বাধীনতার ডাক।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে বিএনপি। গণতন্ত্র একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া। রাতারাতি গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে না। আমাদের চেষ্টা আছে। গণতন্ত্র ক্রমে ক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাচ্ছে। যেটুকু আছে সেটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতার আমলটা তারা কীভাবে চর্চা করেছে সেটা দেখতে হবে। এটা এমন একটা দল, যাদের নিজেদের ঘরে গণতন্ত্র নেই। তারা দেশে গণতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে?

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সে দিনই ছিল আসলে স্বাধীনতার মূল ঘোষণা। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর রাত সাড়ে ১২টা যে স্বাধীনতার ঘোষণা সেটা আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু স্বাধীনতার মূল ঘোষণা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে। এই ভাষণের মধ্য দিয়ে আমাদের ২৩ বছরে স্বাধিকার সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামে পরিণত হয়। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা এটা হলো পরিবর্তন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণার এক মাত্র বৈধ অধিকার ছিল বঙ্গবন্ধুর। কারণ, তিনি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তৎকালীন পূর্ববাংলায় ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ পেয়েছিল। কাজেই, স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার ছিল একমাত্র বঙ্গবন্ধুর। অন্য কারো স্বাধীনতার ঘোষণার বৈধ অধিকার ছিল না। ঘোষক বলে যারা স্বঘোষিত ঘোষক, অনেকেই ছিলে ঘোষণার পাঠক। পাঠক আর ঘোষক এক কথা না।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.