আজ: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৭ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

পোশাক রপ্তানিতে ৫ বছরের জন্য উৎসে কর ০.৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক : পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা ও আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখার প্রস্তাব দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব ভবনে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এ প্রস্তাব দেয় সংগঠন দুটি।

এ দুটি সংগঠন ছাড়াও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমইএ) নেতারা অংশ নেয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে শুল্ক বিভাগের সদস্য মো. মাসুদ সাদেক, আয়কর নীতির সদস্য সামস উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রপ্তানির বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার ওপর আয়কর হার ১০ শতাংশ থেকে ০ শতাংশ করা, গ্রিন কারখানার জন্য করপোরেট করহার ১০ শতাংশ করান প্রস্তাব দিয়েছে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
অ্যাসেসমেন্ট করার সময় কর আরোপকালে অগ্রহণযোগ্য খরচ ও অন্যান্য আয়ের ক্ষেত্রে ট্যাক্স হার
১২ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে বিজিএমইএ।

সংগঠনটির অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৫ পিস ডামি পোশাক বিনাশুল্কে আমদানির অনুমোদন দেওয়া, রপ্তানিকে প্রতিযোগি করতে পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট ১২ ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট অব্যাহতি, এইচ এস কোড জটিলতা নিরসন, ওয়াশিং-ড্রাই মেশিন ও অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র আমদানিতে শুল্কছাড়।

বিকেএমই’র অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান সমূহকে শূন্য ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া, সোলার প্যানেল ও ইটিপি স্থাপনে আমদানি করা রাসায়নিকের শুল্ক ও মূসক ০ শতাংশ করা।

বিটিএমইএ’র প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে রিসাইকেলড ফাইবার, ম্যানমেইড ফাইবারসহ সব প্রকারের আমদানি পর্যায়ে যাবতীয় শুল্ক, মূসক ব্যতীত আমদানির সুযোগ, সব ধরনের পাওয়ার লুমে উৎপাদিত কৃত্রিম আশের সুতার তৈরি ফেব্রিকসের ওপর মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছে।

এসময় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, যে সমস্যাগুলো আমরা ফেস করছি সেগুলো থেকে আমরা ওভারকাম করবো। আমরা বাজার বৈচিত্রকরণে কাজ করছি। সরকার যে সুযোগটা আমাদের দিয়েছে যে, নতুন বাজারে গেলে একটা ইনসেনটিভ পাওয়া যায়, সেই হিসাবে নতুন মার্কেটে আমরা কিন্তু গ্রো করছি।

তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের দাম তিন বার বেড়েছে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির মধ্যে, এসব কারণে আমাদের কস্ট অব প্রোডাকশন বেড়ে গেছে।

আমদানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবছর এনবিআর রাজস্ব অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না- এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এত বছর যে রেভিনিউ গ্রোথ হয়েছে, এবার সেটা কমার আমঙ্কা আছে।

রপ্তানির বিপরীতে উৎসে কর কমানোর দাবি জানিয়ে নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, উৎসে করের টাকাটা সমন্বয় করা যাবে না বলে আইনে উল্লেখ আছে। আপনি যদি অতিরিক্ত টাকা নেন তাহলে এটা সমন্বয় করা সুযোগ আমাদের মৌলিক অধিকার। এ বিষয়টা বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, মাসে মাসে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করছি এখন। কিন্তু এটার সঙ্গে আমি একমত না, আমি কেন রিটার্ন দাখিল করবো। দাখিল করা যখন শুরু হলো তখন ২৫ রকমের ফাইল খাতাপত্র নিয়ে ভ্যাট অফিসে হাজির হতে হয়। এরপর কতগুলো ফর্মের কথা বলা হয়। সেগুলো আমরা কখনো দেখি নাই। এটা খতিয়ে দেখবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা এনবিআরের আরেকটা ডিপার্টমেন্ট বন্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেখানে আমরা প্রতি বছর হিসাব-নিকাশ জমা দেই, তাহলে আরেকটা ডিপার্টমেন্টে কেন আমাদের দিতে হবে।

এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এ সেক্টরকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য যতটুকু করার আমি করবো। ভ্যাট অনলাইন, বন্ড অটোমেশন, এসাইকুড ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সার্ভিস আরও ভালো হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের ভ্যাট, ট্যাক্স কমানোর আবদার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু কিছু জিনিস আমাদের মেনে নিতে হয়। যেমন কাচামালের দাম বৃদ্ধি, জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি- এগুলো আমাদের মেনে নিতে হয়। এটাকে (ভ্যাট, ট্যাক্স) ওই দৃষ্টিতে দেখেন। রেভিনিউ আমাদের দরকার, ট্যাক্স জিডিপি বাড়ানো দরকার।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.