আজ: শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ইং, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

শিল্পের এক অনন্য রূপ চলচ্চিত্র, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শিল্পের এক অনন্য রূপ চলচ্চিত্র, যা বিনোদনের পাশাপাশি সমাজ ও সময়ের বাস্তব চিত্র এবং দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে মানুষকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে।

তিনি বলেন, চলচ্চিত্র মাটি ও মানুষের কথা বলে, মানুষের স্বপ্ন ও সাধনাকে সেলুলয়েডে বন্দি করে পর্দায় ফুটিয়ে তোলে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদান’ উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। তিনি পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, প্রযোজকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তদানীন্তন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রমমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ১৯৫৭ সালের ২৭ মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে ‘ইপিএফডিসি বিল’ উপস্থাপন করেন, যা ওই বছরের ৩ এপ্রিল পাস হয়। জাতির পিতার এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলা চলচ্চিত্রের অগ্রযাত্রার একটি মাইলফলক হিসেবে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় আজকের ‘বিএফডিসি’।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ ও বিনোদনমূলক কালজয়ী বাংলা চলচ্চিত্রগুলোর আবেদন ও প্রভাব আজও সমাজে বিদ্যমান।

আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথ ধরে সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। এরমধ্যে ৩ এপ্রিল ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ ও চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা, কবিরপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্থাপন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট  প্রতিষ্ঠা, বিএফডিসির আধুনিকায়ন এবং জেলায় জেলায় আধুনিক সিনেমা হল সংবলিত তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা উল্লেখযোগ্য।

তিনি বলেন, পুরোনো সিনেমা হলগুলোর সংস্কার ও বন্ধ সিনেমা হল চালু করার লক্ষ্যে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দেওয়ার জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন, চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১  প্রণয়ন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন, সরকারের এসব উদ্যোগ বাংলা চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেশে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ জোগাবে বলেও তার বিশ্বাস।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.