আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

১২ মার্চ ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইসিপিসি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি) এশিয়াধীন ঢাকা অঞ্চল পর্বের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিষ্ঠানটির ডিইউ ক্রোনোস টিম প্রতিযোগিতায় প্রথম এবং একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি টিম ‘ডিইউ নট রেডি ইয়েট’ দ্বিতীয় ও ‘বুয়েট সম্মোহিত’ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। রবিবার ৯২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬২টি টিমের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে প্রতিযোগিতার প্রিলিমিনারি টেস্টে ১২৮ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ১৬৪৮টি টিম অংশ নেয়।

চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থান অর্জনকারী অন্য টিমগুলো হলো- তৃতীয় হিসেবে বিশেষ পুরষ্কার আইওআই ১, ব্রাকইউ ক্রোস, আইইউটি স্লো ফ্রুরিয়ার ট্রান্সফর্ম, সাস্ট বঙ্কক্লাউড, বুয়েট হ্যালোবাইট প্রভৃতি।

শনিবার প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ী এসব টিমের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে এ সময় প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ
কুমার, আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা অঞ্চলের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল এল হক, আইসিপিসি’র কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ার ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, আরডিসি রিজিওনাল কনটেস্ট ডিরেক্টর (আরসিডি) ড. আমিনুর রহমান, এআরডিসি ড. নাজিব আব্দুন নাসির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট ও প্রযুক্তি নির্ভর। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ের পূর্ণ সহযোগিতা থাকলে খুব দ্রুতই বাংলাদেশ তার প্রযুক্তি খাতের লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দৌঁড়ে বাংলাদেশের আইসিটি খাত অনেক দূর এগিয়েছে। সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকলে আগামীতে আরও ভালো কিছু
হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, একুশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করতে তথ্য ও প্রযুক্তির বিকল্প নেই। এটাকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার ইতোমধ্যেই অনেকগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদও নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই খাতে অবদান রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বৈশ্বিকভাবে প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় টিকতে আইসিপিসি'র ভূমিকার কথা তুলে ধরেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে আইসিপিসির মত আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজন আরও হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিপিসি’র কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ার ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ। এ সময় আইসিপিসি প্রতিযোগিতার নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।

এর আগে শুক্রবার অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফাইয়াজ খান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। পুরো প্রতিযোগিতায় সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অংশ নেয় ডিজিটাল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। প্রতিযোগিতায় প্রথম তিন টিমের হাতে ইউএস-
বাংলার সৌজন্যে ঢাকা-দুবাই-ঢাকা, ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা এবং ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা বিমান টিকেট তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানেব ইউএস-বাংলা ছাড়াও স্পন্সর প্রতিষ্ঠান হিসেবে অংশ নেয় থেরাপ বিডি লিমিটেড।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.