কারণ ছাড়াই বাড়ছে শ্যামপুর সুগারের শেয়ার দর

নিজস্ব প্রতিবেদক :পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি শ্যামপুর সুগারের শেয়ারের দাম কোনো প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ ডিএসই জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমনটিই জানায়।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে ডিএসই নোটিস পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানি জানায় কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ার দর বাড়ছে।
উলেখ্য,১৯৯৬ সালে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড। তালিকাভুক্তির পর দীর্ঘ ২৭ বছরেও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেয়নি।
গত ১ মার্চ শ্যামপুর সুগার মিলসের শেয়ারদর ছিল ৬৩ টাকা ১০ পয়সা।গত কাল শেয়ারটি সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৯০ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ সাত কার্যদিবসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৭ টাকা ৭০ পয়সা বা ৪০ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে।
কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি টাকা। দীর্ঘ মেয়াদে কোম্পানিটির যে ঋণ রয়েছে তা পরিশোধিত মূলধনের তুলনায় ৪৫ গুণ বেশি।
ডিএসইর তথ্য বলছে, সর্বশেষ হিসাববছরে শ্যামপুর সুগার মিলস বড় লোকসান দিয়েছে। ২০২২ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫৩ টাকা ০৩ পয়সা। এ হিসেবে কোম্পানিটির লোকসানে পরিমাণ ২৬ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে কোম্পানিটি লোকসান করেছে ৪৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। পরের বছর (২০১৯) কোম্পানিটির লোকসান বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। এছাড়াও ২০২০ সালে ৬০ কোটি ৬৯ লাখ এবং ২০২১ সালে ৬২ কোটি ৫৭ লাখ করে লোকসান করে শ্যামপুর সুগার।
সর্বশেষ হিসাববছরে শ্যামপুর সুগারের শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ঋণাত্মক ছিল। অর্থাৎ হিসাববছর শেষে কোম্পানির কোন সম্পদ ছিল না, উল্টো দায় ছিল। হিসাববছর শেষে শেয়ার প্রতি দায়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ১৬৭ টাকা ৫৭ পয়সায়। এ হিসেবে কোম্পানিটির দায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।