আজ: শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার |

kidarkar

তাসখন্দে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সঙ্গে উজবেকিস্তানের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটিতে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি সেখান থেকে পোশাক খাতের কাঁচামাল ও তুলা আমদানির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া জনশক্তি রপ্তানিরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে মধ্য এশিয়ার এ দেশটিতে।

এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রথমবারের মতো উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে দুই দেশের বেসরকারি পর্যায়ের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বিজনেস সামিট অ্যান্ড বিটুবি’ আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে দুই দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব তৈরি পণ্য ও সেবা তুলে ধরতে পারবেন।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত উজবেকিস্তানের অনারারি কনসাল ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. তাহের শাহ,  বাংলাদেশ ট্রেড সেন্টার (বিটিসি) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীন এবং তুর্কি বিডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ ট্রেড সেন্টারের (বিটিসি) সহযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা এ সামিটের আয়োজন করছে। উজবেকিস্তান-এর রাজধানী তাসখন্দের উইনধাম হোটেলে আগামী ২৬ ও ২৭ মে এ সামিট হবে। এ সামিটের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, বাইসাইকেল, সিরামিক পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, ফার্নিচার, হস্তশিল্প, কাপড়, পর্যটন, আইটি, আইটিএস, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্লাস্টিক, শিক্ষা সেবা, মানব সম্পদ ইত্যাদি পণ্য ও সেবার ভালো বাজার হতে পারে উজবেকিস্তান। এছাড়াও উজবেকিস্তান থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ একই সঙ্গে বাংলাদেশি কোম্পানিসমূহের বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য উজবেকিস্তান হতে পারে আদর্শ গন্তব্য। দেশটি বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য মধ্য এশিয়া তথা পূর্ব ইউরোপের প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত করবে।

ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. তাহের শাহ বলেন, উজবেকিস্তানের লোকজন যখন ইউরোপ আমেরিকা থেকে পোশাক পণ্য কেনে তখন তারা দেখে ট্যাগ লাগানো থাকে মেইড ইন বাংলাদেশ। তাই তাদের আগ্রহ বাড়ছে। পাশাপাশি ওই দেশের সরকারও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ মাত্র ২ টাকা,  গ্যাস প্রায় ফ্রি, এছাড়া জায়গাও দিচ্ছে। এসব সুবিধা নিচ্ছে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। আমাদের দেশের উদ্যোক্তারাও এর সুযোগ নিতে পারেন। এজন্য আমাদের দুই দেশের যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি। এমন সময় এ ধরনের সামিট ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।

বিটিসি-এর প্রধান নির্বাহী জানান, বর্তমানে উজবেকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কোনো বিমান যোগাযোগ নেই। অন্যদেশ হয়ে যেতে হয়। এতে দুই লাখ টাকার বেশি বিমান ভাড়া লাগে। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ উন্নতি করতে হলে সরাসরি বিমান ফ্লাইট জরুরি।

২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যে মোট ৪ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের পণ্য, অন্যদিকে উজবেকিস্তান থেকে ২ কোটি ১৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে। মূলত বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য, পোশাক ও বস্ত্র খাতের পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। আর দেশটি থেকে মূলত সুতা ও বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি করা হয়।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.