আজ: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার |

kidarkar

৯ বছরে প্রাণ বেঁচেছে ২৩ লাখ যক্ষ্মা রোগীর : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত ২০১২ থেকে ২০২১ পর্যন্ত (৯ বছরে) সময়ে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং সহযোগী সংস্থাগুলোর তৎপরতায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। ওষুধ-প্রতিরোধী যক্ষ্মার পরিষেবাকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে যক্ষ্মা বিষয়ক স্বাস্থ্য সেবা জনসাধারণের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ায় এটি সম্ভব হয়েছে বলেও জানায় অধিদপ্তর।

বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও আইসিডিডিআর,বির যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (টিবি-এল এবং এএসপি) ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, ২০১৫ সালে যেখানে প্রতি ১ লাখে প্রায় ৪৫ জন লোকের মৃত্যু হতো, সেখানে ২০২১ সালে যক্ষ্মায় মৃত্যু প্রতি লাখে ২৫ জনে নেমে এসেছে। দীর্ঘমেয়াদি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রচলিত কষ্টকর চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে সম্পূর্ণ মুখে সেবনযোগ্য স্বল্পমেয়াদি ওষুধ-প্রতিরোধী চিকিৎসা পদ্ধতি যক্ষ্মা চিকিৎসায় একটি বড় পরিবর্তন এনেছে।

তিনি বলেন, এসব প্রচেষ্টা আর অর্জন সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনও যক্ষ্মার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে পরিগণিত হয়, যেখানে প্রতি মিনিটে একজন ব্যক্তি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্বে ২০২১ সালে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার লোক যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয় এবং ৪২ হাজার জনে মৃত্যুবরণ করে। অর্থাৎ প্রতি ১২ মিনিটে যক্ষ্মার কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

ডা. মাহফুজ বলেন, সরকার ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূলে যক্ষ্মা শনাক্তকরণ, নোটিফিকেশন, সেবার সহজলভ্যতা, প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম, রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং সর্বস্তরের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম, আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদসহ আরও অনেকে।

২ উত্তর “৯ বছরে প্রাণ বেঁচেছে ২৩ লাখ যক্ষ্মা রোগীর : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর”

  • Anonymous says:

    বর্তমানে যক্ষার চেয়ে ডায়বেটিস রোগের সঠিক চিকিৎসার খুবই প্রয়োজন

  • মোহাম্মদ বেলাল উদ্দীন says:

    ডায়াবেটিস কি ভাবে একেবারে সেরে উঠা যায়। তা নিয়ে গবেষণা করা খুব বেশি প্রয়োজন। শারা জীবন ইনসুলিন না নিয়ে। অন্য রোগের মত সঠিক চিকিৎসার মধ্যে সেরে উঠা যায়। এটা বাংলাদেশ সরকারের অন্য রোগের চেয়ে বেশি প্রধান্য দেওয়া ধরকার

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.