বিশ্ববাজারে চিনির সরবরাহে ঘাটতির আশঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ববাজারে ২০২৩-২৪ মৌসুমে চিনির সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্রিন পুল এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। ঘাটতির কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ভারত, পাকিস্তান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোয় চিনির উৎপাদন কমছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী বাজারে সরবরাহ আসছে না।
গ্রিন পুলের প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমে চিনির বৈশ্বিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১০ লাখ ১ হাজার টন। ২০১৯-২০ মৌসুমের পর টানা তিন বছর উদ্বৃত্তে থাকার পর ঘাটতি দেখবে ভোগ্যপণ্যটির বাজার।
মৌসুমের শুরুতে দেয়া পূর্বাভাসে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক চিনি ও জৈব জ্বালানি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০২৩-২৪ মৌসুমে বৈশ্বিক চিনি উৎপাদন কমে ১৯ কোটি ২৮ লাখ টনে দাঁড়াবে। এর আগের মৌসুমে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৯ কোটি ৩২ লাখ টন। ২০১৯-২০ মৌসুম থেকেই প্রতি বছর উৎপাদনের সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে এ বছর সে ধারার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
গ্রিন পুল জানায়, এ মৌসুমে ভারতে চিনি উৎপাদন ২৩ লাখ টন কমে ঠেকবে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টনে। এ অবনমন কিছুটা পুষিয়ে দেবে দক্ষিণ ব্রাজিলের উৎপাদন বৃদ্ধি। দক্ষিণ ব্রাজিলে চিনির উৎপাদন ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার থেকে বেড়ে ৩ কোটি ৫৮ লাখ টনে দাঁড়ানোর পূর্বাভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে গত মৌসুমের চেয়ে ধীরগতিতে বাড়বে ব্যবহার। চিনির বৈশ্বিক ব্যবহার ১ দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়াবে ১৯ কোটি ২৮ লাখ টনে। গত মৌসুমে বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ২০২২-২৩ মৌসুমের জন্য গ্রিন পুল ১৭ লাখ ৭০ হাজার টন উদ্বৃত্তের পূর্বাভাস দিয়েছিল। ২০২১-২২ মৌসুমে উদ্বৃত্ত ছিল ১৪ লাখ ৪০ হাজার টন।