আজ: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৬ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার |

kidarkar

সাড়ে ৪ হাজার ফাঁকা রেখেই শেষ হলো হজ নিবন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাড়ে ৪ হাজার হজযাত্রীর কোটা ফাঁকা রেখে চলতি বছরের হজ নিবন্ধন শেষ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বুধবার (৫ এপ্রিল) ছিল হজ নিবন্ধনের শেষ দিন। সাত দফা সময় বাড়ানোর পর নিবন্ধনের সময় আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারিতে ফাঁকা থাকা কোটা বেসরকারি এজেন্সিগুলোকে দিয়ে পূরণ করানোর উদ্যোগ হজযাত্রীর অভাবে ভেস্তে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

হজ নিবন্ধন পোর্টালের তথ্যানুযায়ী, বেসরকারিতে প্রাপ্ত কোটার সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮। এরমধ্যে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৯ হাজার ১৮২ জন। বাকি ৩ হাজার ২৩৭ জনের মধ্যে ৭০০ জন মোয়াজ্জেম, ২ হাজার ৫৩৭ জন গাইড হজযাত্রীর সঙ্গে যাবেন। সব মিলিয়ে বেসরকারিতে কোটা পূরণ হয়েছে।

অন্যদিকে সরকারিতে এবার কোটা ১৫ হাজার। এরমধ্যে হজে যেতে নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৯৩৯ জন। গাইড ২৫০, রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাবেন ২০০ এবং সংরক্ষিত ১০০ জন। সব মিলিয়ে মোট ১০ হাজার ৪৮৯ জন। সেই হিসেবে সরকারিতে এখনো ফাঁকা রয়েছে ৪ হাজার ৫১১ জন।

জানা গেছে, শুরু থেকেই সরকারিতে নিবন্ধনের কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছিল না। পরে সরকারিতে ফাঁকা কোটা বেসরকারি এজেন্সিগুলোকে দিয়ে পূরণ করার উদ্যোগ নিলেও হজযাত্রীর অভাবে তা ভেস্তে যায়। এজেন্সিগুলো জানায়, তাদের হাতেও পর্যাপ্ত হজযাত্রী নেই।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, শুরু থেকেই সরকারিভাবে নিবন্ধন করতে অনাগ্রহী ছিল হজযাত্রীরা। শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার ফাঁকা রেখেই নিবন্ধনের কাজ শেষ করতে হচ্ছে। কারণ ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের একটি টিম সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়ার চুক্তির প্রাথমিক কাজ শেষ করে এসেছেন। খুবই শিগগিরই হজ অফিস বাড়ি ভাড়ার চূড়ান্ত চুক্তি করবে। তাই আর নিবন্ধনের সময় বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে বুধবার যারা ব্যাংকের টাকা জমা দিয়েছে তাদের ভাউচারগুলো জমা দিতে আজকের জন্য শুধু ব্যাংকগুলোকে সময় দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন বলেন, সরকারিতে যা ফাঁকা রয়েছে সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সরকারিতে ফাঁকা আসন বেসরকারি এজেন্সিগুলোক দিয়ে দেওয়ার আলোচনা ছিল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বেসরকারি এজেন্সিগুলো নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তাদের কাছে আর কোনো হজযাত্রী নেই বলে আমাদের জানিয়েছেন।

হজ এজেন্সিগুলো বলছে, সৌদি সরকার থেকে পাওয়া নির্ধারিত কোটা পূরণ করে হজযাত্রী পাঠাতে না পারলে আগামীতে এ সংখ্যক কোটা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.