সিমটেক্সে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে আদালতের নিষেধাজ্ঞা
নিজস্ব প্রতিবেদক ; পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজে পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এ নিয়োগের পেছনে কমিশনকে ভুল বোঝানো হয়েছিল বলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
সিমটেক্সের বর্তমান চেয়ারম্যানের করা মামলায় গত ২ এপ্রিল উচ্চ আদালতের বিচারপতি মাহামুদুল হক ও বিচারপতি মাহামুদ হাসান তালুকদার বিএসইসির দেওয়া পাঁচজনের পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগে ৬ মাসের এ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত ২২ মার্চ বিএসইসি সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমান পর্ষদে থাকা দুই স্বতন্ত্র পরিচালক ও এক মনোনীত পরিচালকের পরিবর্তে কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ ৫ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়।
নিয়োগপ্রাপ্ত ৫ স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) শেখ মামুন খালেদ (চেয়ারম্যান), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সুবোধ দেব নাথ, দ্য জুরিস্টের পার্টনার কাওসার আহমেদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাইয়ুম ও ব্যবসায়ী আবিদ আল হাসান।
কমিশনের বিভিন্ন কোম্পানিতে এমন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন রয়েছে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়। যাদের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা নেই। যে কারণ এরই মধ্যে অনেক কোম্পানিতে কমিশনের স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে পর্ষদ পুনর্গঠন মুখ থুবড়ে পড়েছে। যেমনটি হতে যাচ্ছিল সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজেও।
যার ধারাবাহিকতায় সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজকে রক্ষায় কোম্পানিটির চেয়ারম্যান গত ২৭ মার্চ কমিশনের ৫ জনের স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি মাহামুদুল হক ও বিচারপতি মাহামুদ হাসান তালুকদার বিএসইসির দেওয়া ৫ জনের পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের সচিব আশিষ কুমার সাহা বলেন, কোম্পানির স্বার্থরক্ষার কথা বিবেচনায় করে চেয়ারম্যান বিএসইসির স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন। যা বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ-আদালত ওই স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।