আগেই বলেছিলাম এই বছরটা আমাদের খুব ভালো যাবে : সাকিব
স্পোর্টস ডেস্ক : শেষটা হয়েছিল আশার আলোয়। ভারতের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশ করেছিল দারুণ লড়াই।নতুন বছরে উজ্জ্বল কিছু করার তাড়না তৈরিই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সাকিব আল হাসান তো বলেই ফেলেছিলেন, ২০২৩ সালে এসে হবে দারুণ কিছু। অন্তত প্রথম চার মাস পর তেমন কিছু অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে শেষ ম্যাচ জয় দিয়ে শুরু। এরপর বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা বলের দুই ফরম্যাটের সিরিজের পর একমাত্র টেস্টেও এসেছে জয়। তাই সাকিবের কণ্ঠে কেবল তৃপ্তির সুর।
আইরিশদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় বাংলাদেশের এই বছরের পারফরম্যান্স নিয়ে। সাকিব তখন বলেন, ‘আমি তো আগেই বলছিলাম ২০২৩ সাল আমাদের খুব ভালো যাবে। ’
এরপরই বাস্তবতা তুলে ধরে সামনের কঠিন পথের কথাও মনে করেন, ‘যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ বছর। বিশ্বকাপ আছে, এশিয়া কাপ আছে। অবশ্যই চাইবো পরের ছয় মাস যেন ভালোভাবে খেলতে পারি। প্রথম ছয় মাসের চার মাস খুব ভালো গেছে। অর্ধেক বছর আমরা ভালো করেছি, আশা করি বাকিটাও ভালো হবে। যেহেতু আমরা বেশিরভাগ ম্যাচ ওয়ানডে খেলবো…মনে করি এটা এমন এক ফরম্যাট যেটায় আমরা ভালো দল। ’
বাংলাদেশের বদল এসেছে অনেক কিছুতেই। ব্যাটিংয়ে আগ্রাসী ক্রিকেটের ছাপ আছে। ইংল্যান্ডের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও একই ধাঁচের ক্রিকেট খেলেছেন সাকিবরা। সবচেয়ে বড় বদলটা কোথায়? সাকিব বলছেন মানসিকতায়। এসময় তিনি টেনেছেন গত বিশ্বকাপের স্মৃতিকেও।
সাকিব বলেছেন, ‘মানসিকতায় আমার মনে হয় সব থেকে বড় উন্নতি আছে। আপনি যদি দেখেন, যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ ম্যাচ খেলেছি, তখনই আমরা আলোচনা করেছি যে আসলে আমরা হয়তো এই বিশ্বকাপের আগে অবধি নিজেদের অনেক ছোট দল মনে করতাম। আসলে আমরা ছোট দল ছিলাম না। ’
‘আমরা যদি বিশ্বাস রেখে যেতাম, হয়তো সেমিফাইনাল খেলতাম। ওই জায়গাটাতে আমাদের ঘাটতি ছিল, এরপর থেকে আমাদের চিন্তা ছিল ওই জায়গায় বদলটা আনবো। বিশেষত টি-টোয়েন্টি দলে যারা ছিল তাদের সবার ভেতরে মানসিকতারি এই পরিবর্তন আছে। ’