আজ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সর্বশেষ আপডেট:

০৯ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার |

kidarkar

হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তালাত মাহমুদ গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতা তালাত মাহমুদ সায়েনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার(৮ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তালাত লক্ষ্মীপুর সদরের নওশাদ রেজার ছেলে। গ্রেপ্তারকালে তার কাছ থেকে ২৩টি লিফলেট, ৩টি উগ্রবাদী বই, ১টি কম্পিউটার ও ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, তালাত মাহমুদ সায়েন (২৯) নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ জঙ্গি নেতা এবং দাওয়াতি বিভাগের অন্যতম দায়িত্বশীল সদস্য।

হিযবুত তাহরীরের সাংগঠনিক কার্যক্রম প্রচারের নিমিত্তে জঙ্গিবাদী লিফলেট ও পোস্টার বিতরণের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা-স্কুলের মেধাবী ছাত্র তথা তরুণ প্রজন্ম ও সাধারণ জনগণকে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত করতে উৎসাহিত করে থাকে। ২০১৫ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল তালাত মাহমুদ।

পরবর্তীতে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে থেকে দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।

তালাত মাহমুদ সায়েনের (২৯) বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা রয়েছে। মামলার রায়ে আদালত তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময়ও সে পলাতক ছিল।

জিজ্ঞাসাবাদে সায়েন জানায়, সে রাজধানীর একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি এবং ২০১০ সালে এইচএসসি পাস করে। ছাত্রজীবন থেকে হিযবুত তাহরীর সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় সে।

২০১৫ সালে গ্রেপ্তার হয়ে মামলায় এক বছর জেল খাটার পর জামিনে বের হয় তালাত। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে নিজেকে আত্মগোপনে রাখার জন্য মালয়েশিয়াতে চলে যায়। মালয়েশিয়া দুই বছর থেকে ২০১৮ সালে দেশে ফিরে এসে পুনরায় হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে জড়িয়ে পরে।

জানা যায়, হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে থাকায় সরকার বিরোধী লিফলেট ও উগ্রবাদী বই প্রচার ও তরুণ প্রজন্মকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করে আসছিল তালাত মাহমুদ। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.