পাঞ্জাবের খালিস্তান সমর্থক নেতা অমৃতপাল সিং গ্রেপ্তার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানি আন্দোলনের নেতা অমৃতপাল সিংহকে গ্রেপ্তার করেছে মোগা পুলিশ। পাঞ্জাবের মোগা শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গেছে, অমৃতপাল নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৮ মার্চ থেকে পুলিশ তাকে খুঁজছিল।
অমৃতপাল সিংহকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঞ্জাব পুলিশ জনগণকে শান্তি বজায় রাখতে এবং ভুয়া খবর না ছড়াতে আহ্বান জানিয়েছে। এক টুইটে পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, অমৃতপাল সিংকে পাঞ্জাবের মোগায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিস্তারিত পাঞ্জাব পুলিশ জানাবে। নাগরিকদের শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে, কোনো ভুয়া খবর শেয়ার করবেন না, সবসময় যাচাই করবেন এবং পরে শেয়ার করবেন।
‘ওয়ারিস দা পাঞ্জাব’ গোষ্ঠীর প্রধান অমৃতপাল সিংয়ের খোঁজে পাঞ্জাব ছাড়াও হরিয়ানা ও হিমাচল প্রদেশসহ আশপাশের রাজ্যগুলোতেও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ৩০ বছর বয়সী অমৃতপাল সিং শিখদের জন্য একটি পৃথক মাতৃভূমির দাবিতে খালিস্তানি আন্দোলনের একজন কড়া সমর্থক।
অভিযোগ রয়েছে, অমৃতসরের কাছে অঞ্জলা থানার লকআপে বন্দি সঙ্গীকে ছাড়ানোর জন্য কয়েকশ লোকজনকে নিয়ে ১৮ মার্চ হামলা চালান অমৃতপাল ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী পপ্পলপ্রীত সিংহ। ওই ঘটনার পর থেকেই দু’জন পলাতক ছিলেন। তবে ১০ এপ্রিল পপ্পলপ্রীতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অমৃতপালকে আসামের ডিব্রুগড়ের জেলে স্থানান্তর করা হচ্ছে। সেখানে তার অন্য সহকারীদেরও রাখা হয়েছে। অমৃতপালের দলের আরও আট সদস্যকে আসামের কারাগারে রাখা হয়েছে।
অমৃতপালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতির মধ্যে বৈষম্য ছড়ানো, খুনের চেষ্টা, পুলিশকে আক্রমণ এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কয়েকটি সূত্র দাবি করছে, রোববার ভোরে মোগা শহরের একটি গুরুদ্বারের সামনে অমৃতপাল নিজেই পুলিশের কাছে গিয়ে ধরা দেন। তারপর তাকে গ্রেপ্তার করে অমৃতসরে নিয়ে যাওয়া হয়।
অমৃতসরের বিমানবন্দরে মাত্র তিনদিন আগে অমৃতপালের স্ত্রী কিরণদীপকে আটক করেছিল পুলিশ। তিনি লন্ডনে যাচ্ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, যে অমৃতপাল সিং তার গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করছে এবং সাম্প্রদায়িক লাইনে পাঞ্জাবকে ভাগ করার চেষ্টা করছে। অমৃতপাল সিং তরুণদের ‘বন্দুক সংস্কৃতির’ দিকে নিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ।