এনআরবিসি ব্যাংকের এজিএমে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডারদের ২০২২ সালের জন্য ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে সাড়ে সাত শতাংশ নগদ ও সাড়ে চার শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ রয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ব্যাংকের ১০ম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ লভ্যাংশ দেওয়া হবে।
রোববার (৩০ এপ্রিল) হাইব্রিড পদ্ধতিতে (অফলাইন ও অনলাইন) অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ১৬২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী ১৯ জুন ডিজিটাল প্লাটফর্মে ব্যাংকের ১০ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। ব্যাংকের ডিভিডেন্ডের রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৫ মে। সভায় গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২২ সালের বার্ষিক নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদিত হয়।
আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে সমন্বিতভাবে ব্যাংকের ইপিএস দুই টাকা ৪৪ পয়সা ও এককভাবে ইপিএস দাঁড়িয়েছে দুই টাকা ১৯ পয়সা। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে সমন্বিত হিসাবে ব্যাংকটির ব্যালান্সশিটের আকার দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ২০ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা। এছাড়া সমন্বিতভাবে বছর শেষে ব্যাংকটির নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৭ কোটি ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬২ টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ১ হাজার ১৯৮ কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৭ টাকা। এছাড়া এককভাবে এনএভি হয়েছে ১ হাজার ২৯৩ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার ২১৩ টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ১ হাজার ১৮০ কোটি ৮৬ লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ টাকা।
পাশাপাশি সমন্বিতভাবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে শেয়ার প্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৭৩ পয়সায়। আগের বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ১৫ টাকা ১২ পয়সা। আর এককভাবে শেয়ারপ্রতি এনএভি ১৬ টাকা ৩১ পয়সা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ১৪ টাকা ৮৯ পয়সা।
পরিচালনা পর্ষদের সভায় জানানো হয়, গত বছরে নেটওয়ার্ক বিস্তার ও ব্যাংকিং সেবার প্রসার ঘটিয়েছে ব্যাংকটি। শাখা, উপ-শাখা ও বুথ মিলে সারাদেশে ১ হাজার ৬১৬টি স্থান থেকে সেবা দিচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ২৯.৮২ শতাংশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১০ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি আমানত সংগ্রহ প্রায় ৩৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে আমানত ছিল ১২ হাজার ৮২ কোটি টাকা। ২০২২ সালের চূড়ান্ত হিসেবে প্রভিশন সংরক্ষণ ও কর পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৭৪ কোটি টাকা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল। এসময় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, লকিয়ত ঊল্লাহ, এএম সাইদুর রহমান, বিকল্প পরিচালক ড. কুতুব উদ্দিন, স্বতন্ত্র পরিচালক এয়ার চিফ মার্শাল (অব) আবু এশরার, ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, ড. রাদ মুজিব লালন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী গোলাম আউলিয়া, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশীদ ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আহসান হাবিব উপস্থিত ছিলেন।